৮,৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণের বোঝা ঘাড়ে ধুঁকতে থাকা জেট নিয়ে যখন মোদী সরকারকে দুষছে গোটা দেশ, বিজেপির ‘আচ্ছে দিনে’ কাজ হারানোর ভয়ে যখন জেট এয়ারওয়েজের অসংখ্য কর্মী পরনে ইউনিফর্ম, হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন, ঠিক সেই সময়ে এবার বিপাকে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়াও। জেট এয়ারওয়েজের মতোই আর্থিক সংকটে ভুগছে এই বিমানসংস্থাও। তবে অবস্থা অতটা খারাপ না হলেও, এখনও পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের টাকা না থাকায় গত এক মাসে চারটি বোয়িং বিমানের উড়ান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এই বিমানের প্রত্যেকটিতেই যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু নতুন যন্ত্রাংশ কেনার টাকা না থাকায়, সেগুলির উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনটি বোয়িং-৭৭৭ বিমানের উড়ান বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লী থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী একটি বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পুড়ে যায় বিমানের বেশ কিছু দামী যন্ত্রাংশ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার সেটিরও উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা কোনও উত্তর দেননি। তবে এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক জানান, ‘এই বোয়িং বিমানগুলিকে পুনরায় সারাই করে উড়ানের উপযোগী করতে বেশ কিছু নতুন যন্ত্রাংশ প্রয়োজন। কিন্তু সেগুলি কেনার মতো টাকা এখন বিমানসংস্থা হাতে নেই। সেগুলি জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। তা হয়ে গেলেই পুনরায় বিমানগুলি ওড়ানো হবে।’
একই মত বিমানচালকদেরও। তাঁরাও জানিয়েছেন, এই বিমানগুলির উড়ান বন্ধ করে দেওয়ার বয়স হয়নি। নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশের অভাবেই সেগুলির উড়ান বন্ধ করে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, জেটের ঘটনা দেখে ইতিমধ্যেই ভয় ঢুকে গেছে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের মধ্যেও। জেটের ক্ষেত্রেই মোদী সরকারের তরফে অসহযোগীতার নিদর্শন দেখেছে গোটা দেশ। তাই অবস্থার খুব একটা অবনতি না ঘটলেও এখন থেকেই আশঙ্কায় দিন গুনছে তাঁরা।