কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এর আগে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে দেশের চিত্র পরিচালক, নাট্যকার, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি প্রাক্তন আমলারাও। আর এবার বাংলার বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের নিয়োগ নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। একটি মামলা ব্যারাকপুর লোকসভা আসনের নির্দল প্রার্থী রামু মান্ডির। অন্যটি হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের।
রামু মান্ডির দাবি, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন না মেনেই ওই দুই প্রাক্তন আইএএস এবং আইপিএস অফিসারকে এই রাজ্যের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি মনে করেন, এঁরা ভোটে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন। তার মুখ্য কারণ, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ায় তাঁদের ‘সার্ভিস বুকে’ কালো কালির আঁচড় লাগার সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি চান, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এঁদের কাজকর্মে লাগাম পরিয়ে দিক আদালত। তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন এখনও পর্যন্ত যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্থগিত করে দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েক যে সব মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। সেই অধিকার তাঁর নেই। তাই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে বলা হোক নির্বাচন কমিশনকে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন ফের এমন মন্তব্য না করেন, তা নিশ্চিত করা দরকার। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই অজয় নায়েকের অপসারণের দাবি তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। এবার সেই সুর শোনা গেল অন্যদের গলাতেও। দুই মামলাকারীই দ্রুত বিষয়টির বিচার চেয়েছেন। তবে হাওড়া আদালতে আইনজীবী নিগ্রহের ঘটনার জেরে কর্মবিরতির জল কতদূর গড়ায়, তার ওপরেই নির্ভর করবে এইসব মামলার ভবিষ্যৎ।