অসুস্থতার কারণে জামিনে মুক্ত তিনি। তবে জামিনে জেল থেকে বেরিয়েও বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর তারপর থেকেই একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বারবার শিরোনামে এসেছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের মতো গুরুতর ঘটনায় অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। প্রার্থী হিসেবে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে যেদিন থেকে পা রেখেছেন সেদিন থেকেই মুখ খুলে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন তিনি। যার জেরে একই দিনে তাঁকে দুটি নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতি এমনই যে খোদ দলের নেত্রীই এখন আর বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে চাইছেন না। যার ফলে ভোট মরশুমে আবারও অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোপালে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন ফতিমা রসুল সিদ্দিকি। শিবরাজ সিং চৌহান ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী ছিলেন দলের সংখ্যালঘু মুখ। তিনিই এখন ভোপালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের হয়ে প্রচার করতে অস্বীকার করেছেন। ফতিমা রসুলের দাবি, মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে প্রজ্ঞা যেসব মন্তব্য করেছেন তা একপ্রকার ধর্মযুদ্ধ ঘোষণার সামিল। ওঁর মন্তব্য সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক। উনি মুসিলমদের সম্পর্কে যেসব কথা বলছেন তা আপত্তিজনক। মুম্বই হামলায় শহিদ পুলিস আধিকারিক হেমন্ত কারকারে সম্পর্কে উনি যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে আমি ক্ষুব্ধ।
বিজেপি নেত্রী আরও বলেন যে, প্রজ্ঞা যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে শিবরাজ সিং চৌহানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এতদিন ধরে রাজ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন শিবরাজ সিং চৌহান। আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটারদের শিবরাজ সিং চৌহানের ওপরে প্রবল শ্রদ্ধা রয়েছে। যে ভাষায় উনি কথা বলছেন তাতে আমার আপত্তি রয়েছে। উন্নয়নের কথা বাদ দিয়ে উনি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কথা বলছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফতিমার এ হেন মন্তব্যে প্রকাশ্যে এসে গেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। এ কথা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, শিবরাজ শিবিরের সঙ্গে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে প্রজ্ঞা ও তাঁর অনুগামীদের। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের।