লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই আবার সামনে এল প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রতিশ্রুতি’-র রূপ। প্রচারে তাঁর পরিশ্রুতি যে শুধু কথার কথা তা সামনে এল বারাণসী কেন্দ্রের দুটি গ্রামের চিত্র থেকে। পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে সংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা প্রকল্পের অধীনে থাকা জয়াপুর ও নাগেপুর গ্রাম দুটি।
উল্লেখ্য গ্রাম দুটি দত্তক নিয়েছিলেন মোদী। গালভরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব চিত্রটা একটু অন্যরকম। প্রতিশ্রুতি ঘোষণার কিছু মাস নজরে ছিল গ্রাম দুটি। তারপর সেই ‘নজর’ কপূরের মত উবে গেছে। প্রকল্পে হওয়া রাস্তা, শৌচালয়, আলো পরিকাঠামোর অভাবে তলিয়ে গেছে অতল জলে।
ad id=’58631′]
বাস্তবে, গ্রামের সব রাস্তাই প্রায় গর্তে বোঝাই হয়ে গিয়েছে, শৌচাগারগুলি ভেঙেচুরে এমন দশা হয়েছে যে ফের মাঠমুখো হচ্ছেন গ্রামবাসী, সৌরচালিত আলো কাজ না করায় ফের অন্ধকারে ডুবেছে জনপদ। গ্রামে জেঁকে বসেছে বহিরাগতদের রাজনৈতিক দখলদারিও। নির্বাচিত পঞ্চায়েত থাকা সত্ত্বেও আরএসএস-এর মদতে পঞ্চায়েত প্রধানের ক্ষমতা ছেঁটে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
শুধু এখানেই শেষ নয়। জয়াপুর গ্রামে নির্বাচনের বদলে লটারির মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধান বেছে নেওয়া হয়। সেই প্রথা মানতে অস্বীকার করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন নারায়ণ প্যাটেল। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তিন সপ্তাহ জেল খাটানো হয় বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের।
সদ্য বারাণসী কেন্দ্র থেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোদী। আর তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রামেই চলছে আরএসএস ও বিজেপি কর্মীদের তান্ডব। তাঁদের দাদাগিরিতে থমকে গেছে মোদীর ‘প্রতিশ্রুত উন্নয়ন’। আর ‘চৌকিদার’মোদীর চোখ এড়িয়ে গেল এই অনৈতিক কাজ। এমনই প্রশ্ন ঘুরছে জাতীয় রাজনীতির আনাচে কানাচে।