ভারতের জেট এয়ারওয়েজ সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সংস্থার কর্মীরা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনই বিপাকে পড়েছে দুই বিদেশি বিমান সংস্থা। এখনও পর্যন্ত মোদী এই জট খুলতে পারেন নি। তাতেই বেকার হয়ে পড়েছেন বহু জেট কর্মী। আর সেই ধাক্কা গিয়ে লাগল এবার ‘বোয়িং’-এর মতো মার্কিন বিমান সংস্থা ও ইউরোপীয় বিমান সংস্থা ‘এয়ারবাস’-এর গায়ে।
জেট এয়ারওয়েজকে যে ২১০টি উড়ান বেচার কথা ছিল বোয়িং-এর, তার সবগুলিই বাতিল হল। তার মধ্যে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জেটকে ১১৯টি উড়ান দেওয়ার কথা ছিল বোয়িং-এর। এয়ারবাসের কথা ছিল ৫৮টি উড়ান বেচার। তার ফলে, বোয়িং-এর কিছুটা আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ফিনান্স ডিরেক্টর গ্রেগ স্মিথ।
বোয়িং, এয়ারবাসের মতো আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাগুলি এখন জেট এয়ারওয়েজের মতো বিভিন্ন দেশের বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলিকে বিমান বেচার উপরেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। জেট এয়ারওয়েজ তার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল বোয়িং ও এয়ারবাসের মতো সংস্থাকেও।
মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিন’ যে বিমান সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে নয় তা এই ঘটনায় স্পষ্ট। আর পরোক্ষভাবে বিদেশি সংস্থাগুলিও খুব একটা খুশি নয় তাও বোঝা যাচ্ছে।