সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল দেশ জুড়ে। সত্যি কি মিথ্যা নাকি ষড়যন্ত্র তা নিয়েই সরগরম ছিল দেশ। সেখানে এই অভিযোগ ভয়ানক ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র এমনটাই দাবি করেছেন এক আইনজীবী। তারপরই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে পট্টনায়েককে নিযুক্ত করল শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বিশেষ বেঞ্চ জানায়, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগের তদন্ত করবেন পট্টনায়েক। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগটি সম্পূর্ণ অন্য বিষয়। বিচারপতি পট্টনায়েকের পেশ করা রিপোর্ট কোনওভাবেই শীর্ষ আদালতের অভ্যন্তরীণ তদন্তকে প্রভাবিত করবে না।
প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে কি না খতিয়ে দেখতে সিবিআই-এর দুই যুগ্ম অধিকর্তা, দিল্লি পুলিশ প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্সি ব্যুরোর কর্তাকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্তে তৈরি হয়েছে এই বেঞ্চটি। তাতে রয়েছেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং বিচারপতি দীপক গুপ্ত। বুধবার বিচারপতি অমিত মিশ্র এই মামলার শুনানিতে বলেন, ‘যদি আইনজীবী দাবি করেন যে এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে তাহলে সেই বিষয়টির গোড়ায় যাওয়া দরকার। আর তাই এই বিষয়টির তদন্ত আমরা করব। তা না হলে শুধুমাত্র আমরা নয়, সুপ্রিম কোর্টও বাঁচবে না।’ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ যখন সামনে এসেছে তখন কি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের চোখ বন্ধ করে থাকা উচিত? তিনি বলেন, তা হলে সমস্ত দেশ বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে। যদিও এদিন উৎসবের হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হলফনামা পেশ করে অভিযোগ করতে পারলে আদালতে সেই সংক্রান্ত প্রমাণ কেন দিতে পারবেন না? এছাড়াও বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। ওই কমিটির অধীনে তদন্ত খতিয়ে দেখা হবে।