বুধবার বাঘমুণ্ডি বিধানসভা এলাকার মাঠায় সভা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন। এই সভাতেই কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সহ বিভিন্ন দল থেকে মোট ৩৫০জন তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন বাঘমুণ্ডির মাঠায় সভা ছাড়াও পুঞ্চা এলাকায় তিনি একটি মিছিলও করেন। সভায় তিনি কেন্দ্রের ব্যর্থতা নিয়ে তোপ দাগেন মোদীকে।
সভায় বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্যা পাবর্তী সিংসর্দার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। একই সঙ্গে মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে মোট ৩৫০জন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শান্তনু সেন সহ জেলা তৃণমূলের নেতারা। মাঠা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর এদিনের যোগদান যথেষ্ট গুরত্বপূর্ণ বলে জানান তৃণমূলের বাঘমুণ্ডি বিধানসভার পর্যবেক্ষক সুশান্ত মাহাত।
সভায় শান্তনুবাবু বলেন, মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সহ গোটা পুরুলিয়া জেলায় বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কিছু এলাকায় ভালো ফলাফল করতে পেরেছিল। তবে সাধারণ মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে প্রতিদিনই তৃণমূলে ফিরে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ওর দলের বহু নেতা হেলিকপ্টারে করে টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক নিয়ে এসে ওই টাকা বিলিয়ে জঙ্গলমহলে ভোটে জিততে চাইছে। এলাকার আদিবাসী তথা সাধারণ মানুষকে বলব বিজেপি টাকা দিতে এলে ওই টাকা নিয়ে নিন, কিন্তু ভোটটা ভুলেও বিজেপিকে দেবেন না। কারণ, একদিনের টাকায় সারাবছর বিভিন্ন বিপদে আপদে ভালো থাকা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা দূর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও জানান, “বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে একদিন ভালোমন্দ খাওয়া যাবে, কিন্তু প্রতিদিনের সুবিধা অসুবিধার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রয়োজন। জঙ্গলমহল এলাকায় নিত্যদিন সাধারণ মানুষের পাশে থাকে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ভোট মিটে গেলে ওদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ ওদের মিথ্যা কথায় আর ভুলবেন না”।
এই সভায় তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক দিব্যজ্যোতি প্রসাদ সিংদেও বলেন, ২০১১ সালের আগে জঙ্গলমহল এলাকার সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ছিল, আর বর্তমানে কী অবস্থা তা নিজেদের ভাবার সময় এসেছে। বিজেপির অপ্রচার শুনে বিজেপির সঙ্গে থাকবেন নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে, তা নিজেদেরই ঠিক করতে হবে।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন সাঁওতালি ভাষায় বলেন, গত সাত বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি যে উন্নয়ন করেছেন তা কোনও রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জন্য করতে পারেননি।