দিন কয়েক আগেই নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই আর বাজানো যাবে না বাবুল সুপ্রিয়র তৈরি বিজেপির থিম সং। কিন্তু তারপরেও কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসানসোল এবং তমলুকে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময়ও মিছিল ও সমাবেশে বহাল তবিয়তে বেজেছে বাবুলের বিতর্কিত গান। আর মঙ্গলবার আসানসোলে খোদ নরেন্দ্র মোদীর সভাতেই বাজল বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া বিজেপির বাতিল থিম সং। যে গানের জেরে সোমবারই আসানসোলের সাংসদের বিরুদ্ধে এফাইআর দায়ের করে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রচারের কাজে তৈরি গানটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের মানহানি করা হয়েছে বলে এর আগে কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। শাসক দলের অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপির ওই থিম সংয়ের প্রায় ২৬টি শব্দ পালটে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। কিন্তু সে কথাটুকুরও মান রাখেনি বিজেপি। কানেই তোলেনি কমিশনের কথা। আর তার পরই বাবুলের সেই গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কমিশন। হয়েছিল এফআইয়ারও।
তবে নিষেধাজ্ঞা ও এফআইআরের তোয়াক্কা না করে গতকাল আসানসোলে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফের বাবুলের সেই গান বেজে ওঠে। এমনকী, গানের সুরে নাচতেও দেখা যায় মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতাদের। টিভির পর্দা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দৃশ্য ফের নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁর উপস্থিতিতেই কী ভাবে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে বারবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বিজেপির নামে। তবে তাতে শুধরে নেওয়া তো দূর, কমিশনকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে সেই কাজই করে যাচ্ছে মোদী শিবির। ভোট শুরু হয়ে গেলেও বহাল রয়েছে সেই ধারা। এর আগে অমিত শাহের সভাতেও বাজান হয়েছিল বাবুলের বিতর্কিত গান।