২০১৩ সালে এশিয়ান বক্সিংয়ে সোনা জিতেছিলেন শিবা থাপা। ২০১৫ সালে জেতেন ব্রোঞ্জ। ২০১৭ সালে শিবা রুপো জয় করেন। এই বছরেও টানা চারবার পদক জয় নিশ্চিত করলেন শিবা থাপা।
প্রথম ভারতীয় বক্সার হিসেবে শিবা থাপা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে টানা চতুর্থ পদক পাওয়া নিশ্চিত করলেন। তিনি সেমি-ফাইনালে উঠলেন। ২৫ বছর বয়সী অসমের এই বক্সার হারালেন তাইল্যান্ডের রুজাকরান জানট্রংকে। ৬০ কেজি লাইটওয়েট বিভাগে একপেশে লড়াইয়ে জিতলেন শিবা। তিনি ৫-০ পয়েন্টে জেতেন। শেষ চারে শিবার সামনে কাজাখস্তানের জাকির সফিউল্লা। যিনি ২০১৫ সালের এশিয়ান বক্সিংয়ে রুপো জিতেছিলেন।
এদিন এশিয়ান বক্সিংয়ের শেষ চারে উঠেছেন ভারতের আশিস কুমার (৭৫ কেজি)। তিনি হারান কিরঘিজস্তানের ওমেরবেক উলু বেহঝিগিটকে। শিবা থাপা একদা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। দু’বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। মঙ্গলবার শিবা থাপা জোরালো পাঞ্চ, আক্রমণাত্মক মুভমেন্ট দিয়ে প্রতিপক্ষকে সহজেই কাত করেন। কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী নমন তানওয়ার (৯১ কেজি) কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যান। তিনি হারেন জর্ডনের হুসেইন ইশাইশ ইশাইশের কাছে ০-৫ পয়েন্টে।
মহিলা বিভাগে মণিপুরের এল সরিতা দেবী (৬০ কেজি) সেমি-ফাইনালে উঠলেন। প্রায় এক দশক পর সরিতা শেষ চারে উঠে এলেন। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সরিতা শেষবার ২০১০ সালে এশিয়ান বক্সিংয়ের সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন। তিনি সেবার সোনা জেতেন। এদিন সরিতা হারান কাজাখস্তানের রিম্মা ভোলোসেঙ্কোকে। ৩৭ বছর বয়সী এই ভারতীয় মহিলা বক্সার গত দিল্লি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও পদক পাননি।
টানা ১০ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতলেন ৬৫ কেজি ফ্রি-স্টাইল ক্যাটাগরিতে বিশ্বের একনম্বর কুস্তিগির ভারতের বজরং পুনিয়া। এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতার ফাইনালে বজরং পুনিয়া ১২-৭ পয়েন্টে হারালেন কাজাখস্তানের সায়াটবেক ওকাসভকে। কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন বজরং স্মরণীয় লড়াই করে সোনা পকেটে পুরে নেন। একসময় সায়াটবেকের বিরুদ্ধে ২-৭ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকেও ৬০ সেকেন্ডে টানা দশ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দেন। একসময় ম্যাটে বজরংয়ের স্ট্যামিনা ও বুদ্ধির সামনে কাজাখ কুস্তিগির ক্লাম্ত হয়ে যান। ২০১৭ সালের পর বজরং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় সোনা জিতলেন। কোনও সন্দেহ নেই ২০২০ টোকিও ওলিম্পিকসে বজরং ভারতের বড় পদকের দাবিদার।