এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এমন এক মঞ্চ যেখানে ৫৪ বছর ভারতের কোনও সোনা নেই। শেষ সোনা এসেছিল ১৯৬৫ সালে। ভারতের দীনেশ খন্না সে বার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের সেরা হয়েছিলেন৷ এবার সেই খরা কাটাতে আজ প্রতিযোগীতায় নামছে পি ভি সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়াল৷
সাইনা অতীতে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আরও দু’বার ব্রোঞ্জ জেতেন। ২০১০ ও ২০১৬ সালে। ২০১৪ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সিন্ধু। কিন্তু শেষ সোনা এসেছিল সেই দীনেশ খন্নার হাত ধরে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় আগে। সাইনা, সিন্ধুর সোনার দৌড় এ বার কতটা সফল হয় সেটাই আপাতত দেখার। তাঁদের লড়ইটা বেশ কঠিনও। কারণ সোনার দৌড়ে থাকছেন আকানে ইয়ামাগুচি, চেন ইউফেই, রাতচানক ইথাননরাও। অবশ্য বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের আর এক মহাতারকা তাই জু ইং এ বার নাম তুলে নিয়েছেন।
সাইনা অতীতে ইন্দোনেশিয়া মাস্টার্সের খেতাব জিতলেও এ বার কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান। তার পরে দু’টি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। কোর্টে ফেরেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে প্রথম রাউন্ডেই চোচুওং-এর কাছে হারলেও সিঙ্গাপুরে তার প্রতিশোধ নেন। এ বারের এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সাইনা সপ্তম বাছাই। প্রথম ম্যাচেই তাঁর সামনে চিনের হ্যান ইউয়ে। এবং সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে খেলতে হতে পারে জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির সঙ্গে।
পুরুষ বিভাগে ভারতের প্রধান ভরসা যথারীতি কিদম্বি শ্রীকান্ত। শেষ কয়েক সপ্তাহে তাঁর খেলায় মোটামুটি একটা ছন্দ দেখা গিয়েছে। ইন্ডিয়া ওপেনের ফাইনালেও উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে পরের দু’সপ্তাহে দু’জায়গায় খেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এশীয় আসরে প্রথম রাউন্ডে তাঁর সামনে ইন্দোনেশিয়ার শেসার হিরেন রুস্তাভিতো। এই ম্যাচ জিতলে পরের রাউন্ডে সম্ভবত তাঁকে লড়তে হবে তিয়েন মিন নুগুয়েনের সঙ্গে। কোনও ভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে শ্রীকান্তের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন চিনের চেন লং।