‘মাতাল’ হয়ে বুথে ঢুকেছেন বিজেপির এজেন্ট। উল্টোপাল্টা কাজ করছেন। আন শুনতে কান শুনছেন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে এমন অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচকের ৭৯ নম্বর বুথে। আর তার জেরেই কিছুক্ষণ বন্ধ থাকল ভোট গ্রহণ পর্বও।
এদিন সকাল থেকে বিজেপি-র এজেন্ট হিসেবে ওই বুথে ছিলেন বছর ছাব্বিশের গগন সরকার। বেলা পর্যন্ত দিব্যি বসেছিলেন বুথে। কিন্তু বেলা বাড়তেই গগন বুথ ছাড়েন। রিলিভার আসেন তাঁর জায়গায়। ঘণ্টা দেড়েক সেই রিলিভার বুথ সামলান। তারপর ফের ফিরে আসেন গগন। কিন্তু সকালের গগন আর বেলার গগনের মধ্যে যে একটা গগন-পাতাল ফারাক হয়ে গিয়েছে তা দেখেই বুঝতে পারেন প্রিসাইডিং অফিসার থেকে অন্য পার্টির পোলিং এজেন্টরা সকলেই।
মদের গন্ধে তখন ভুরভুর করছে বুথ। পা টলছে গগনের। প্রিসাইডিং অফিসার সিরিয়াল নম্বর ১০৮ বললে, গগন শুনছেন ৫৭২। এমন ‘মাতাল’ এজেন্টের সঙ্গে ভোট করা সম্ভব নয় বলে একযোগে ভোট বন্ধের দাবি জানান কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের এজেন্টরা। বাধ্য হয়ে প্রিসাইডিং অফিসার খবর দেন সেক্টর অফিসে। আসেন আধিকারিক। আসে পুলিশও। তারপর গগনকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ। কলার ধরে পুলিশ যখন মদ্যপ বিজেপি এজেন্টকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন এক আধিকারিককেও বলতে শোনা যায়, ‘বাপ রে! কী গন্ধ!’
ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য মদ বিলির অভিযোগ দেশের রাজনীতিতে নতুন নয়। কিন্তু মাতাল এজেন্টের জন্য বেশ কিছুক্ষণ ভোট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে অভিনব ঘটনা বৈকি।