গতকাল পুরুলিয়ায় সুসজ্জিত মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহা্তো। এই মিছিলে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। তৃণমূলের এই মিছিলে জনপ্লাবণ এবং কর্মীদের বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসের স্লোগান গোটা শহরকে কার্যত মুখরিত করে তোলে। ভোটের ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন দলের কর্মীদের মধ্যে চর্চা অব্যাহত থাকলেও মনোনয়ন পর্বকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি এবং উচ্ছ্বাস শাসকদলকে এদিন বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মিছিলের শুরুর দিকেই মহিলা ঢাকি সকলের নজর কাড়ে। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কর্মী সমর্থকরা নিজেদের উদ্যোগেই কেউ ছৌনাচ, কেউ আবার ঘোড়া নাচ উপস্থাপনা করেন। কেউ আবার আদিবাসী নৃত্যের তালে পা দোলান। অনেকে আবার শিং বাজনার ছন্দে গোটা মিছিল কার্যত নাচতে নাচতে যান। বলরামপুর থেকে আদিবাসীরা নিজের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাদ্যযন্ত্র সহযোগে এই মিছিলে যোগদান করেন। হুডখোলা জিপ মিছিলে থাকলেও প্রার্থী নিজে গোটা রাস্তা মিছিলেই পা মেলান।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিরোধীরা প্রত্যেকেই মিছিল করে শহরের একাংশ পরিক্রমা করে মনোনয়ন জমা দেন। তবে শাসকদল কার্যত শেষপর্বে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে সোমবার মিছিলে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে বিরোধীদের খানিকটা ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। এদিন পুরুলিয়া শহরের জিইএল চার্চ ময়দান সংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড়, হাসপাতাল মোড়, এসপি অফিস মোড়, পোস্ট অফিস মোড় হয়ে মধ্যবাজার পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে বিবিদাস রোড, পুরাতন পুলিস লাইন, হাটের মোড় হয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে মিছিল পৌঁছয়। এদিন মিছিলের পুরোভাগে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সুশান্ত মাহাত, মহিলা সভানেত্রী নিয়তি মাহাত, পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান প্রমুখ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আবেগে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এদিনের আবেগ উচ্ছ্বাস ইভিএম মেশিনেও প্রতিফলিত হবে”।