সোমবার এশিয়ান অ্যাথলেটিক্সের দ্বিতীয় দিনে ভারত পেল দুটি সোনা। ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিলেন গোমতী মারিমুথু। সোমবার দোহায় ৮০০ মিটারে সোনা জিতলেন তিনি। ৩০ বছরের গোমতী নিজের সেরা সময় করলেন ২ মিনিট ২.৭ সেকেন্ড। ছেলেদের শট পাটে সোনা পেলেন তেজিন্দর সিং তুর। তিনি তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই জীবনের সেরা দূরত্ব অতিক্রম করেন। ২০.২২ মিটার। তাঁর সেরা দূরত্ব ছিল ২০.৭৫ মিটার।
দ্যুতি চন্দ তাঁর হিটে করা সময় আরও কমালেন সেমিফাইনালে। নতুন রেকর্ডও গড়লেন। ফাইনালেও উঠলেন দোহার স্টেডিয়ামে আলোড়ন তুলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডুবল তাঁর। পঞ্চম হলেন তিনি। পদক জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল দ্যুতির। এ দিন চরম হতাশ করলেন স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ। হিটে রেকর্ড করার পর এ দিন সকালে সেমিফাইনালে উড়িষ্যার জাজপুরের এই মেয়ে নতুন রেকর্ড করেন ১১.২৪ সেকেন্ডের। হিটে যা ছিল ১১.২৬ সেকেন্ড। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন ফাইনালে ভারতের এই স্প্রিন্টার পদক পাবেনই। দু’বছর আগে ভুবনেশ্বরে এশিয়ান মিটে দ্যুতি ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। ফাইনালে কিন্তু দ্যুতি চরম ব্যর্থ হলেন।
মেয়েদের ৮০০ মিটারে রুপো জিতেছেন চিনের ওয়াং চুনিয়ু। তাঁর পিছনে তৃতীয় হয়েছেন কাজাখস্তানের মার্গারিতা মুকাশেভা। এই ৮০০ মিটারের দৌড়টা গোমতীর কাছে অনেকটা যেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে। কারণ, প্রথম ল্যাপের শেষে একেবারে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে সামনে এগোতে শুরু করেন। কিন্তু তখনও চিনের ওয়াংয়ের থেকে পিছিয়েই ছিলেন। ফিনিশিং লাইনের ঠিক আগে দারুণ ভাবে পিছনে ফেলেন ওয়াংকে। পরে গোমতী বলেন, ‘শেষ ১৫০ মিটার খুব কঠিন ছিল। তাই লাইন টপকে গিয়েও বিশ্বাস হয়নি আমি প্রথম হয়ে গিয়েছি।’
সোনা জেতার জন্য এখন সকলের নজরে বাংলার স্বপ্না বর্মণ। হেপ্টাথলনের ৭ ইভেন্টের মধ্যে এ দিন চার ইভেন্ট শেষে স্বপ্না রয়েছেন তিন নম্বরে ৩৫২১ পয়েন্ট পেয়ে। তাঁর থেকে প্রথম স্থানে থাকা ভরনিনা ৫৫ পয়েন্টে এগিয়ে। পরপর তিন বছরে তিনটি এশীয় মিটে সোনা জেতার হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন নিয়ে দোহা গিয়েছেন জলপাইগুড়ির মেয়ে।