বাড়ির ছাদে বা জানলার সামনে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভিড় নেমে এসেছে রাস্তাতেও। আট থেকে আশি – সেই ভিড়ে বাদ নেই কেউ। আর ভিড়ের উচ্ছ্বাস, জয়ধ্বনি শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। চারিদিকে গমগম করছে ‘মমতা জিন্দাবাদ’ স্লোগান। সবমিলিয়ে বিখ্যাত রাসযাত্রাকেও ম্লান করে দিল মমতার শান্তিপুরের রোড শো।
কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে কৃষ্ণনগর খনিশ পার্ক থেকে কদমতলা ঘাট অবধি রাস্তায় হাঁটা। তারপর রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রূপালি বিশ্বাসকে নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ অধীররঞ্জন বিশ্বাস, সংসদ তাপস মণ্ডল, পৌরপিতা অজয় দে, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে নিয়ে শান্তিপুর থানার মোড় থেকে শান্তিপুর বাইগাছিতাই পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা মমতা অতিক্রম করলেন এক ঘণ্টায়। কখনও জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন, কখনওবা প্রণাম, আবার কখনও কচিকাঁচাদের কাছে গিয়ে মাথার চুলে বিলি কেটে দিয়ে আদর করে দিচ্ছেন। এমন অনাবিল দৃশ্যে গোটা শান্তিপুর তখন মমতাময়।
শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বললেন, কৃষ্ণনগরের থেকেও শান্তিপুরে আরও বেশী লোক হয়েছে। দিদির প্রতি সম্মান ছাড়া রাজ্যবাসী ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না, তার প্রমাণ আজকের এই রোড শো। শান্তিপুরের কললাপাড়ার মিনতি চ্যাটার্জি বলেন, ‘এত কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কি সাধারণ, কি অমায়িক, দেখে মনে হচ্ছে সত্যিকারের নেত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের গর্ব।
