রবিবার নলহাটি-২ ব্লকের কাঁটাগড়িয়া মোড়ে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সভামঞ্চ থেকে বিজেপি তথা মোদীর যাবতীয় ব্যর্থতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন হাকিম।
সভায় বক্তব্যের শুরুতেই হাসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একমাত্র আটকাতে পারে তৃণমূল। তাই প্রাক্তন বীরভূম কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি আমাদের দলে যোগদান করেছেন”। প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শার নাম না আক্রমণ করে বলেন, “ওরা পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করবেন বলছেন। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে ক্ষমতা থাকলে এখানে এনআরসি করতে আসুন। বাংলার মানুষ ঠ্যাং ভেঙে দেবে। কারণ, আমরা সবাই মিলেমিশে সুখে শান্তিতে ভালো আছি। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ করতে আসবেন না। বাংলার মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা আছে। সে নাম তোমরা মুছতে পারবে না”।
ফিরহাদ আরও বলেন, “জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা দিলীপের মাথা নড়ে। আমরা তো লাঠি রাখি না! লেঠেলদের নিয়ে রাজনীতি করি না! আমরা সমাজসেবকদের নিয়ে রাজনীতি করি”! তিনি বলছেন, “শতাব্দী রায় স্নো পাউডার মেখে ঘুরছেন। আমি বলছি, নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্যের দিকে তাকাতে নেই। রামের ভাই লক্ষণ সীতার পায়ের দিকে তাকাতেন। এটাই ভারতের সংস্কৃতি। দিলীপ ঘোষের সেই শিক্ষা নেই। বিজেপি দল মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে”। মোদীর নাম করে তিনি বলেন, উনি আচ্ছে দিনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু, আদানি-আম্বানিদের আচ্ছে দিন এসেছে। তিনি কোনওদিন কারও অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ দেবেন না। তিনি বলছেন, ম্যায় ইমানদার চৌকিদার হুঁ। বাংলায় একটা কথা আছে, নিজেকে যে বড় বলে, বড় সে নয়। লোকে যারে বড় বলে, বড় সেই হয়। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একজনই রয়েছেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মোদীকে হটাতে শতাব্দী রায়কে ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন”।
মহানাগরিক আরও বলেন, “নির্বাচন এলেই বিজেপি রাম নাম নিয়ে প্রচার চালায়। কিন্তু, এবার ভারতবর্ষের মানুষ বলে দিয়েছে রাম নাম সত্য হ্যায়। মানুষ বিজেপি’কে ভোট দেবে না কারণ মানুষ বুঝে গেছে ওদের মিথ্যা কথাকে”।