খারাপ সময় চলছিলই। কিন্তু ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ভারতী ঘোষের। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। কিন্তু তাঁর মেজাজ রয়ে গিয়েছে পুলিশের মতো। সেই মেজাজই এবার কাল হল তাঁর। রবিবার কেশপুরের এনায়েতপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন ভারতী। আর গিয়েই তিনি হঠাৎ এই মিথ্যে অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হুমকিতে নাকি এলাকার লোকজন বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। তবে এখানেই থেমে না থেকে এরপর তিনি প্রকাশ্যেই কেশপুর থানার ওসি হীরক বিশ্বাসকে রীতিমতো হুমকি দেন। বলেন, ‘বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে না বেরনোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এগুলি বন্ধ করুন, নাহলে আপনার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানাব। আপনি পুলিশ বলে আমি আপনার প্রতি সহানুভূতি দেখাব, এটা হবে না। এভাবে সিআইডি দিয়ে, বাড়ি বন্ধ করে আমাকে আটকানো যাবে না, আপনারাও জানেন।’
উল্লেখ্য, শুক্রবারই ভারতীকে জেরা করেছে সিআইডি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ‘দাসপুর তোলাবাজি মামলা’য় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে নোটিশ ধরিয়েছিল তাঁরা। তাঁকে জেরার জন্য বৃহস্পতিবারই ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু হাজিরার নির্দেশ সত্ত্বেও ভোটপ্রচারের অজুহাত দেখিয়ে ভবানী ভবনে যাননি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী। তাই শুক্রবার সকালেই তাঁর মেদিনীপুরের বাড়িতে সটান হাজির হয় সিআইডি। এই ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মেজাজ এখন বিগড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের পাল্লা যে ভারী তা-ও তিনি বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন। শুধু তাই নয়, খোদ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাই তাঁর ওপর বীতশ্রদ্ধ। এমনকি পোস্টারও পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই সব মিলিয়েই খুব হতাশ ভারতী। তাই নিজেকে সামলাতে না পেরে ওসির ওপরই এখন সেই রাগ বার করছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে শাসক দল। নিজের আচরণের জন্য তাঁকে ঘাটালবাসীদের সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে।