প্রথম থেকেই প্রচারে ঝড় তুলছে তৃণমূল। এই শেষ লগ্নেও বিরোধীরা কয়েক লক্ষ যোজন পিছিয়ে আছেন। শুক্রবার সকালে বড়ঞা ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভোটপ্রচার করলেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। এদিন অপূর্ববাবু ওই এলাকার বড়ঞা ১ ও ২, বিপ্রশেখর ও শাবলদহ পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটপ্রচার করেন।
গতকাল সকাল ৮টা নাগাদ হুডখোলা গাড়িতে তিনি বড়ঞা থেকে প্রচার শুরু করেন। পরে বেলা ১২টা নাগাদ প্রচার শেষ করে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বেরিয়ে যান। অপূর্ব বেশিরভাগ সময় হুডখোলা গাড়িতে থাকলেও গ্রামের ভিতরে হেঁটে প্রচার করেছেন। কখনও প্রবীণ ও বৃদ্ধদের প্রণাম ও বুকে জড়িয়ে ধরেছেন। আবার কখনও ছোটদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে দেখা গিয়েছে। আবার কখনও যুবকদের সঙ্গে খোশমেজাজে মশকরা করতে দেখা গিয়েছে প্রার্থীকে। গ্রামের প্রবীণরা অপূর্ববাবুর সঙ্গে হেঁটে প্রচার করেন। এমনকী, অপূর্ববাবুর কাঁধে ভর দিয়ে বয়স্করা তাঁর মিছিলে হাঁটেন।
অপূর্ববাবু বলেন, “ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, গ্রামের মানুষ তত আমার সঙ্গে পায়ে পা মেলাচ্ছেন, মিছিলে হাঁটছেন। এমনকী, গ্রামের বয়স্করা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। মানুষ এসব রাজ্য সরকারের উন্নয়ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ভালবাসা থেকে করছেন”।
অপূর্ববাবুর প্রচারের সময় প্রতিটি গ্রামে বাসিন্দাদের ভিড় ছিল। গ্রামের মোড়ে মোড়ে মহিলারা ফুল ও মালা পরিয়ে প্রার্থীকে বরণ করেন। প্রতিটি গ্রামেই প্রচারের আগে বাজনার দল নিয়ে দলীয় কর্মীদের গ্রাম ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কোথাও মহিলাদের মিষ্টি ও জলের বোতল নিয়ে অপেক্ষা করতেও দেখা গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে সাময়িক স্বস্তির জন্য মহিলাদের কাছ থেকে জল খান দলীয় কর্মীরা। এমনকী, অপূর্ববাবুও হুডখোলা গাড়িতে চড়ে মহিলাদের কাছ থেকে জলের বোতল নিয়ে তৃষ্ণা মিটিয়েছেন।
এদিন অপূর্ববাবু ওই এলাকার বড়ঞা ১ ও ২, বিপ্রশেখর ও শাবলদহ পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটপ্রচার করেন। প্রথমেই তিনি বড়ঞা গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেন। পরে ববরপুর, হাপিনা, যুগসরা, সাহোরা, তালবোনা, প্যাটারি, ফতেপুর, পছিপাড়া, বাহাদুরপুর হয়ে প্রচার শেষ করেন। এদিন তাঁর সঙ্গে প্রচারে শামিল হয়েছিলেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শিদ সহ দলের স্থানীয় নেতৃত্ব।