বরকত গনিখান চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৩টা বছর অতিক্রান্ত। তবুও এই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে ভোট করতে হয় ‘মালদহের রূপকার’-এর নাম নিয়েই। নিজেদের উন্নয়নমূলক কোনও বিষয় নিয়ে আজও প্রচারে নামতে পারে না কংগ্রেস। তবে এবার এই ‘গনি মিথ’ ভাঙতে চলেছে তৃণমূল।
মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। আর এখানে বামেদের সংগঠনও খুব দুর্বল। দলের কর্মীদেরও দেখা মেলে না। সাধারণ মানুষও মমতার উন্নয়নেই আস্থা রেখেছেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই। তাছাড়াও যেভাবে প্রচারে ঝড় তুলছে মৌসম তাতে বাদবাকিরা অনেক ব্যাকফুটে।
তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল (বাবলা) সরকার বলেন, গনিখান সাহেবকে শ্রদ্ধা করেন না, এমন মানুষ মালদহে পাওয়া কঠিন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৩টা বছর অতিক্রান্ত। তাও ভোট এলেই কংগ্রেস নেতারা তাঁর কথাই প্রচার করেন।তাঁর নামে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু এত বছরেও কেউই তাঁর উত্তরসূরি হওয়ার চেষ্টা করেননি। তবে, বছরের পর বছর ‘গনি মিথ’ ভাঙিয়ে কংগ্রেসের ভোটে জেতার দিন এবার শেষ হতে চলেছে।
‘গনি মিথ’ ভাঙার ক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র উন্নয়ন। যেভাবে গোটা বাংলা জুড়ে দ্রুতবেগে ধাবিত হচ্ছে উন্নয়নের রথ তাতে মালদহতে ভেঙ্গে ফেলা যাবে গনি মিথ। বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করতে পারেনি কংগ্রেস আর সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়েছে আগের তুলনায় অনেক ফলে মানুষ ঝুঁকছে মমতার দিকেই।