খারাপ সময় চলছিলই। কিন্তু ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ভারতী ঘোষের। আজ, শুক্রবার ভারতীর দাসপুরের বাড়িতে চলছে সিআইডি তল্লাশি৷ এদিন সকাল থেকেই প্রাক্তন আইপিএসের মেদিনীপুরের বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান৷ চারটি দলে ভাগ হয়ে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারীকরা এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন৷
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ‘দাসপুর তোলাবাজি মামলা’য় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে নোটিশ ধরিয়েছে সিআইডি। তাঁকে জেরার জন্য বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে ডেকেছিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু হাজিরার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ভোটপ্রচারের অজুহাত দেখিয়ে ভবানী ভবনে যাননি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী। জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে তিনি আগামী শুক্রবার ভবানী ভবনে যাবেন।
কিন্তু তিনি ফের যাতে কোনও অজুহাত না দিতে পারেন, তাই শুক্রবার সকালে তাঁর মেদিনীপুরের বাড়িতে সটান হাজির হয় সিআইডি। সেখানে তল্লাশির পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। সূত্রের খবর, এদিন সকালেই ফোন করে ভারতী কখন ওই বাড়িতে থাকবেন তা জানতে চান সিআইডির গোয়েন্দারা৷ ফোন মারফত ভারতীর কাছ থেকে রাজ্য গোয়েন্দারা জেনে নেন, তিনি কখন বাড়িতে থাকবেন। এর পরই চারটি দলে ভাগ হয়ে সিআইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। সঙ্গে চলছে জিজ্ঞাসাবাদও৷
প্রসঙ্গত, দাসপুর থানা এলাকায় সোনা হাতানো মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভারতী ঘোষ। জেলার পুলিশ সুপার থাকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে তিনি প্রমাণ লোপাট করতে পারেন বলে আশঙ্কা করে রাজ্য প্রশাসন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর এবং রাজ্যে যাতে ভারতী ঘোষ প্রবেশের অনুমতি না পায় তার আবেদন জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সোনা তোলাবাজি মামলায় সিআইডি যে কোন সময় জেরা করার জন্য ডাকতে পারে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীকে।
ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেছিলেন, ‘তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ভারতী ঘোষকে।’ এবং রাজ্য পুলিশ নোটিশ জারি করে ডেকে পাঠাতে পারবে তাঁকে। এরপরই রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা ভোটের মুখে ভারতীর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়৷ বিচারতির নির্দেশ মতোই জারি করা হয় নোটিশ। কিন্তু তাতে সাড়া না মিলতেই এবার ভারতীর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিআইডি।