ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ল দিল্লী। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলের দুই নম্বরে উঠে এল রোহিত শর্মার দলও। দিল্লীর শুরুটা যে খুব খারাপ ছিল, তা কিন্তু বলা যাবে না। কিন্তু পৃথ্বী (২৪ বলে ২০) এবং শিখর ধওয়ন (২২ বলে ৩৫) ফেরার পরেই পাল্টে গেল ছবিটা।
আগে ব্যাট করে মুম্বই তুলেছিল ১৬৮-৫। জবাবে ১২৮-৯-এ শেষ দিল্লি। মুম্বইকে অবশ্য টেনেছিলেন পান্ডিয়া ব্রাদার্স। ক্রুণাল ২৬ বলে নট আউট ৩৭ রানে ইনিংস খেলেন। আর হার্দিক ১৫ বলে করেন ৩২। ধোনিকে এতদিন দেখা যেত হেলিকপ্টার শট মারতে। হার্দিকও একই রকম ভাবে হেলিকপ্টার শটে ছয় মেরেছেন অবলীলায়। দুই ভাইয়ের আগে কিছুটা লড়াই করেন রোহিত শর্মা (৩০), কুইন্টন ডি কক (৩৫), সূর্যকুমার যাদব (২৬)। দিল্লির সবচেয়ে সফল বোলার রাবাডা (২-৩৮)। তবে ভালো বোলিং করেছেন দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল (১-১৭) ও অমিত মিশ্র (১-১৮)।
লেগস্পিনার রাহুল চাহারই গড়ে দিলেন জয়ের রাস্তা। বল পড়ে থমকে যাচ্ছিল। সেই উইকেটেই দুই ওপেনার-সহ দিল্লি ক্যাপিটালস দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে রাহুল চমক দিলেন। ম্যাচের পরে যা নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক বলে গেলেন, ‘‘দ্বিতীয় ওভারেই পরেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এই মন্থর উইকেটে রান তাড়া করা সহজ হবে না দিল্লির। সত্যি বলতে, উইকেটকিপিং করতে গিয়ে বারবার বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম।’’ বিষণ্ণ দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার মেনে নিলেন, তাঁরা কোনও সময়েই মুম্বই বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করতে পারেননি।
কোটলার বাইশ গজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। মন্থর উইকেট স্ট্রোক খেলার পক্ষে সমস্যা তৈরি করেছে অনেক ম্যাচেই। দিল্লীর বিরুদ্ধে পিচ দেখেই হয়তো দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করে মুম্বই। এই ম্যাচে তিন স্পিনারে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। ক্রুণাল পাণ্ড্য, রাহুল চাহারের সঙ্গে রয়েছেন অফস্পিনার জয়ন্ত যাদবও। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সময় মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ‘‘জানি, এই পিচটা কী রকম ব্যবহার করতে পারে। সেই মতো তৈরি আছি আমরা।’’ উল্টো দিকে দিল্লী অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘‘টস জিতে রোহিতকে ব্যাট নিতে দেখে অবাকই হয়েছিলাম।’’