গত ১১ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে জোরকদমেই চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। ২০১৪ সালের লােকসভা ভোটের মতো এবারও বাংলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। এবার উড়িষ্যায় দুটি, আন্দামান নিকোবরে একটি, আসামে ছটি, ঝাড়খন্ডে তিনটি এবং বিহারেও দুটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তারা। তাই সেসব জায়গাও চলছে মমতার দলের প্রচার।
কিষানগঞ্জে যেমন বেশ কয়েকদিন ধরেই রাস্তাঘাট দিয়ে ভেসে আসছিল, ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান। সেখানে তৃণমূলের প্রচার বেশ চমকে দেওয়ার মতো। আজ, বৃহস্পতিবার সেই কিষানগঞ্জ ছাড়াও কাটিহার, পূর্ণিয়া, ভাগলপুর, বাঁকায় অগ্নিপরীক্ষা দিল ঘাসফুল। এদিন ছিল ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটদান পর্ব।
বাংলার অগ্নিকন্যাকে ভালই চেনেন সেখানকার মানুষ। বিশেষ করে বাঙালিরা। আর সেই ভোটে ভর করেই বিহারের ভোটে ফ্যাক্টর তৃণমূল। বাংলার কাউকে দেখলেই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ‘আপ দিদিকে ইলাকাকে হ্যায়। দিদিকে বোলনা হম বহুত কোশিস কর রহে হ্যায়। বহুত লোগ হামারে সাথ হ্যায়।’
প্রার্থী ঘোষণার পর কিষানগঞ্জ দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূলও। তির ও হাতের পাশাপাশি নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল ঘাসফুলের। এমনিতেই বহিরাগতদের পক্ষে বোঝা মুশকিল বিহারে কবে ভোট। দেওয়াল লিখন নেই। হোর্ডিং, ব্যানার নেই। পোস্টার নেই। প্রচার বলতে গাড়ির সামনে পিছনে ব্যানার টাঙিয়ে মাইকিং।
এমনিতে কিষানগঞ্জ, কাটিহার লোকসভা কেন্দ্র গুলো বাংলা অধ্যুষিত। কিষানগঞ্জে মুসলিম বাঙালি বেশি। কাটিহারে হিন্দু। এলাকার এক ঠান্ডা পানীয়ের দোকানের মালিক অরূণ কুমার বলেন, ‘এখানে প্রচুর বাঙালি। এই আশাতেই তৃণমূল কংগ্রেস এখানে প্রার্থী দিয়েছে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা অন্য জনপ্রিয়তাও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, কিষানগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন জাভেদ ইসলাম খান আর মহারাজগঞ্জে সুনীল সিং। কিষানগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিহারে হওয়া মহাগঠবন্ধনে তৃণমূল না থাকলেও লালু প্রসাদ বা তেজস্বী যাদবদের সঙ্গে মমতার সখ্যতার কথা সর্বজনবিদিত। সুতরাং কিষানগঞ্জে যদি আরজেডির ভোটের একাংশ আজ তৃণমূলে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।