সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে একের পর এক মানবিক চিত্র উঠে আসছে। গণতন্ত্রের অধিকার সকলের। কিন্তু সকলে কি এই অধিকার সমান গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন? অনেকেই পৌঁছায় না তাঁদের অধিকার পূরণ করতে। আর সেখানে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে অন্য আর এক চিত্র।
এইবার ভোট দিয়ে নজির করলেন সারা দেশের বহু শতায়ু। তাঁরাই উদাহরণ তৈরি করে দিল নব প্রজন্মের সামনে। এমনই একজন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা ভি সান্থামান। ১০১ বছর বয়সেও প্রতিবার নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করে এসেছেন। আজও তার ব্যতিক্রম নন। তাঁর কথাতেই প্রতিবারের জন্যও ভোট দিতে ভুল হয় নি। তাঁর বক্তব্য, ‘১৯৪৬ সালের ভোট ছিল ব্রিটিশদের। তখন যে কেউ ইনকাম ট্যাক্স দিলেই ভোট দিতে পারতেন। আমার মনে আছে, সেই বার আমি স্বতন্ত্র পার্টির নেতা মিনু মাসানিকে ভোট দিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন যে এখনকার প্রজন্মের উচিত সব কিছু ভাল করে জেনে, বুঝে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। আর সেই সংখ্যাটা ১০০% হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি। কারণ তাঁর বিশ্বাস, এই প্রজন্মই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পরিবর্তন আনতে পারে চাইলে।
এই তালিকায় অন্য নাম হল মহারাষ্ট্রের হারাণগুল ভদ্রক, হিমাচল প্রদেশের শ্যামশরণ নেগি। এরা সবাই তাঁদের বয়সসীমা ১০০ পেরিয়েছেন। তাঁদের সবার একই দাবি। যদি দেশে পরিবর্তন চাও তো ভোট দাও। প্রত্যেকের ভোটই গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু পরিবর্তনের জন্য। আর এটাই নব প্রজন্মের কাছে এক দৃষ্টান্ত উদাহরণ।