গতকালের ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফের টিকিট চলে আসত হাতের মুঠোয়৷ কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই চোটের কবলে পড়ে খেলতেই পারলেন না ধোনি৷ আর মিডল ব্যাটিংয়ের ধসে হেরেই গেল চেন্নাই৷
বুধবার উপ্পলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ছয় উইকেটে হারতে হল সিএসকে-কে। এই জয়ের ফলে হায়দ্রাবাদ উঠে এল পাঁচ নম্বরে। কলকাতা নাইট রাইডার্স নেমে গেল ছয়ে। চেন্নাই থেকে গেল আইপিএল লিগ শীর্ষেই।
চেন্নাইয়ের রান ওঠার গতি আটকে দেন হায়দরাবাদের লেগস্পিনার রশিদ খান। রশিদ চার ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। এক ওভারে রায়না এবং কেদার যাদবকে ফিরিয়ে দেন রশিদ। যে কারণে রান ওঠার গতি আটকে যায়। অম্বাতি রায়ডু এবং রবীন্দ্র জাডেজা মিলে ৩১ রান যোগ করতে ৩২ বল নিয়ে নেন৷
ম্যাচে আরও একটা আকর্ষণ ছিল বিজয় শঙ্কর বনাম অম্বাতি রায়ডু দ্বৈরথ। এই দুই ক্রিকেটারের কেউই নজরে পড়ার মতো কিছু করতে পারেননি। রায়ডু ২১ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিজয় শঙ্করের ব্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে মাত্র সাত রান। চেন্নাই ইনিংসে রায়ডুকে এক ওভার বল করেছিলেন বিজয় শঙ্কর। কিন্তু সেই ওভারে বিশেষ কিছু হয়নি। রায়ডুকে আউট করতে না পারলেও ওই ওভারে বেশি রান দেননি শঙ্কর। রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের ওপেনাররা জয়ের রাস্তাটা পরিষ্কার করে দেন। ম্যাচের সেরা ডেভিড ওয়ার্নার ২৫ বলে ৫০ করেন। জনি বেয়ারস্টো ৪৪ বলে ৬১ রান করেন। দু’জনের দাপটে জয় পায় হায়দ্রাবাদ৷
ধোনিহীন চেন্নাইকে হারতে হল মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতায়। হায়দ্রাবাদে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক সুরেশ রায়না। ওপেনিং জুটিতে শেন ওয়াটসন এবং ফ্যাফ ডুপ্লেসি মিলে ৯.৫ ওভারে ৭৯ রান যোগ করেন। কিন্তু তার পরে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রানের গতি সে ভাবে বাড়াতে পারেননি।