ভোট যত এগোচ্ছে ততই লাগাম ছাড়া হয়ে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের একের পর এক মন্তব্যে উঠছে বিতর্কের ঝড়। এইবার সেই খাতায় নাম লেখালেন বিজেপি নেতা আলুওয়ালিয়া। বর্ধমানের টাউন হলে নির্বাচনী প্রচারে এসে রাজ্য সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দরজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিন। লোকসভা কেন্দ্রে ৪২টির মধ্যে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিন আমি বলে যাচ্ছি আপনাদের, ৬ মাসের মধ্যে মোদি সরকারকে দিয়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে দেব। সন্ত্রাস থেকে মুক্তি করাতে ৬ মাসের বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে দেব।’
একটা নির্বাচিত সরকারকে এইভাবে ভেঙে দেওয়ার বিজেপি হুমকি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। আলুওয়ালিয়ার এই মন্তব্যকে তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘একটা নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্ত সরকারকে কেউ এইভাবে ফেলে দিতে পারে না। ফ্যাসিস্টজাতীয় মন্তব্য। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’ একইসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেছেন বিজেপি ও বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থীকে। স্বপনবাবু বলেন, ‘প্রবাদ আছে না, কুঁজোরও অনেকসময় চিৎ হয়ে শুতে ইচ্ছা করে। আগে উনি নিজের কেন্দ্রে জিতে দেখান। তার পর তো বিধানসভা ভাঙার কথা ভাববেন।’
বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেবে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘উনি জ্যোতিষী কবে থেকে হলেন। নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন উনি ভাবছেন কী করে। ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। মোদি বিরোধী, সাম্প্রদায়িক বিজেপি বিরোধী ঝড় উঠেছে। তছনছ হবে বিজেপি। বাংলাকে নিয়ে পরে ভাবুক। নিজেরা জিতবে কি না সেটা আগে দেখুক।’
এইরকম চাপানউতোর চলছেই লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তাঁর মাঝে রাজ্য সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকি সত্যিই অন্যন্য। তাই এই মন্তব্য ঘিরে চলছে তুমুল বিতর্ক।