গতকাল রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রচারে শহর মাতালো ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব। মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে দেবকে দেখার জন্য এদিন দুপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। দেব যখন সভাস্থলে পৌঁছন সেই সময় দর্শকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব ময়দান থেকে দেব যান কালিয়াগঞ্জের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবাদ ক্লাবের মাঠে আরেক জনসভাতে। সেখানেও তাঁকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন দেবের সভাতে।
এই দুই জায়গাতেই ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। দেব মাইক্রোফোন হাতে নিতেই মাঠে উপস্থিত জনতা উদ্বেল হয়ে ওঠে। এই মঞ্চ থেকেই দেব রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে জয়ী করার আহ্বান জানান। দেব বলেন, এখানকার প্রার্থী ভূমিপুত্র। তিনি এখান থেকে পালাবেন না। যদি আপনারা কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে ভোট দেন তাহলে অনেক খুশি হব। বক্তব্যের শুরুতেই দেব বলেন, “আমি ভোট চাইতে আসিনি, আমি আমার প্রার্থী জন্য আর্শীবাদ চাইতে এসেছি। আপনাদের আর্শীবাদ পাব তো? আর তৃণমূল সরকার আপনাদের সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে। সেই সরকারের পাশে আপনাদের থাকতে হবে”।
এদিন দুপুরে মালদহ থেকে প্রথমে কালিয়াগঞ্জের সভায় যান অভিনেতা দেব। সেখানেও দেবকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে বক্তব্য রেখে রায়গঞ্জে আসেন তিনি। ততক্ষণে রায়গঞ্জ মার্চেন্ট ক্লাব ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জমায়েত ধরে রাখতে স্থানীয় নেতৃত্ব বক্তব্য রাখাতে থাকেন। কিন্তু মাঠের জনতা ততক্ষণে দেবকে দেখার জন্য অধৈর্য হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তার ঘেরা টোপ পেরিয়ে মানুষ মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা ‘ডি জোন’-এর মধ্যেও দর্শকরা ঢুকে পড়ে। মঞ্চের পিছন দিকের রাস্তা দিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ যখন দেব মঞ্চে পৌঁছন তখন এই অভিনেতার কাছে পৌঁছনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
শুধুমাত্র শহরই নয় রায়গঞ্জ সংলগ্ন আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ অভিনেতা দেবকে দেখতে হাজির হয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করেও মানুষ মাঠ থেকে সরেনি। তবে এদিনের সভায় নায়ক দেবকে দেখার উচ্ছ্বাস ভোটবাক্সে কতটা প্রতিফলিত হবে তা সময়ই বলবে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এর আগে রায়গঞ্জে বেশ কয়েক জন অভিনেতা ও অভিনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার সেরে গিয়েছেন। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট ক্লাবের এই মাঠেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সভা করে গিয়েছেন। সেই সভাতেও ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। এবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে এসে দেব নির্বাচনী প্রচারপর্ব মাতিয়ে দিয়ে গেলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।