আগামী ১২ মে ভোট কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। মমতার সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানই এই ভোটের প্রধান হাতিয়ার তৃণমূল প্রার্থীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভোল বদলে ফেলা নয়া রূপের দীঘাই প্রচারে অস্ত্র করছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “দীঘা তো বদলেছে। দীঘাকে ঘিরে বাকি ৪ সৈকতও উন্নয়নে বিকশিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি দীঘাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রের শিরোপা পাইয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। পর্যটন বিকাশে এলাকার অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। বহু বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতি মতো কাজ উপহার দিয়েছি মানুষকে।’ ৭ বছরে দিঘা বদলেছে বইকি! পরিবর্তনের দীঘায় নয়া সংযোজন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের মতো আইকনিক বিল্ডিং। একাধিক বিশ্ব বাংলা পার্ক হয়েছে। নতুন রাস্তা ও ব্রিজ হচ্ছে। এখানে সাত কিমি লম্বা মেরিন ড্রাইভ তৈরি হচ্ছে। আর দুটি ব্রিজ হয়ে গেলে মুম্বইয়ের মতো মেরিন ড্রাইভ তৈরি হয়ে যাবে। উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যায়নের জন্য দিঘা একদিন গোয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।
এখন দীঘায় বছরভর থাকে পর্যটকদের ভিড়। পর্যটন বিকাশেই বেকারত্ব দূর হয়েছে বহু বেকারের। বাড়ির ছেলেমেয়েরা এখন আর কাজের খোঁজে বাইরে যায় না। মন্দারমণিতে হোম–স্টে প্রকল্পের সূচনা হয়েছে রাজ্য সরকারের হাত ধরে। এতে পর্যটনের যেমন বিকাশ ঘটেছে, তেমনই মহিলারাও স্বনির্ভর হতে পেরেছেন। মন্দারমণিতে বাড়িতে বাড়িতে হোম টুরিজমের জন্য প্রশাসনের তরফে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে সুন্দর টিভি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুন্দর করে বায়ো টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক উদ্যোগে।
স্থানীয় অলঙ্কারপুর গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন। উন্নয়নের জোরে দীঘায় যেমন পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে, তেমনই দূর হয়েছে বহু মানুষের বেকারত্বের যন্ত্রণা”। রাস্তার মোড়, বাড়ির বারান্দা, বাজার, চায়ের দোকান থেকে খাবারের দোকান সর্বত্রই এখন ভোট আবহ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে রাজনৈতিক তরজা। বসে নেই আমজনতাও। দীঘা–সহ ৪ সৈকত এলাকার সর্বত্রই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে উন্নয়নের কথা। দীঘার খাদালগোবরা গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন বাম গণসংঠনের নেতা অচিন্ত্যকুমার জানা বলেন, “উন্নয়ন হয়েছে বলেই তো দীঘায় এখন বছরভর ভিড় থাকে। মানুষের রুজি–রুটির ব্যাপক সংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে পরিবর্তনের দীঘা”।