মঙ্গলবার রাতে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে ফের নোটিশ পাঠাল সিআইডি। আগামী ১৮ এপ্রিল ভবানী ভবনে সিআইডির সঙ্গে তাঁর ফের দেখা হবে। অর্থাৎ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বেশ অস্বস্তিতে ভারতী।
অন্যদিকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠানোর পরেও না এলে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে বলেই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেন, ‘ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট আগে নির্দেশ দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু অভিযোগের তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য সমন পাঠাতে তো কোনও বাধা নেই। নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হোক। তারপরেও না এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে উঠেছিল ভারতী মামলা। রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার বক্তব্যে সোনা প্রতারণা-সহ ভারতীর বিরুদ্ধে ওঠে সব অভিযোগের খুঁটিনাটি বর্ণনা দেন। সেই সঙ্গে প্রাক্তন আইপিএস-কে ফের জেরা করার অনুমতি চান। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাট, হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি, নোটবন্দির সময় সোনার বন্ধকী জাতীয় ব্যবসা, দু’কোটি টাকা পাচার সহ স্বামীর সঙ্গে অসাধু চক্র চালানোর মতো যাবতীয় অভিযোগগুলি উল্লেখ করেন।
সিবাল বলেন, ‘সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট বলছে অপরাধ হয়েছে। টাকা পয়সা, সোনা ধরা পড়ার যাবতীয় ফুটেজ আছে। দুর্নীতি ঢাকতে মুম্বইয়ের এক জুয়েলার্সকে মিথ্যে রসিদ বানিয়ে দেওয়ার জন্য ফোনে হুমকি দেওয়ার তথ্যও তো আদালতে তুলে দিয়েছি। এরপর আদালত ঠিক করুক।
সব মিলিয়ে বেশ বিপাকে ভারতী। একদিকে মামলার ঝামেলা, অন্যদিকে দলের কোন্দল তারওপরে প্রচারেও সাড়া পাচ্ছেন না। ভোটের আগেই হেরে বসে আছেন ভারতী।