অধীরের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে আরএসএস ও কংগ্রেসকে ‘চুপিচুপি জোট’ বলে ব্যঙ্গ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অধীরকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, ‘ভোটের সময় ছাড়া ক’দিন বহরমপুরে থাকেন সাংসদ? কেবল মুখে বড় বড় কথা বলেন, তৃণমূলে বিরুদ্ধে কুৎসা করেন। বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে কংগ্রেসে পাশে দাঁড়িয়েছে আরএসএস’। বুধবার কান্দির জনসভা থেকে এভাবেই অধীর চৌধুরির উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানালেন মমতা। সঙ্গে রাজ্যে কংগ্রেস-আরএসএস আঁতাতের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘কংগ্রেসের কোনও আদর্শ নেই। এ রাজ্যে কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম সবই এক। বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করছে আরএসএস।’ বাংলার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ও সিপিএমকে একটিও ভোট না দেওয়ার আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলডাঙা, ভগবানগোলার পর এবার কান্দি। অধীরের খাসতালুক মুর্শিদাবাদে একের এক জনসভা, প্রচারে ঝড় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কান্দিতে জনসভায় শুরুতে অবশ্য কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন মমতা। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অতীশ সিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমিও একসময়ে কংগ্রেস করতাম। উনি আমায় খুবই ভালবাসতেন, স্নেহ করতেন। কিন্তু কংগ্রেস সিপিএমের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাই ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করি। তৃণমূল এখন বটবৃক্ষের পরিণত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস আছে বলে বাংলায় শান্তি আছে।’ সেই সূত্রেই ফের এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, ‘ভোটের সময় ছাড়া ক’দিন বহরমপুরে থাকেন সাংসদ? কেবল মুখে বড় বড় কথা বলেন, তৃণমূলে বিরুদ্ধে কুৎসা করেন। বহরমপুর ও জঙ্গীপুরে কংগ্রেসে পাশে দাঁড়িয়েছে আরএসএস’।
এনআরসি, কর্মসংস্থান-সহ বিভিন্ন ইস্যুতেও এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘মোদীর জমানায় বন্ধ হতে চলেছে বিএসএনএল, জেটের মতো সংস্থা। বিমানে ইকোনমি ক্লাসে এখন আর যাত্রীদের আমিষ দেওয়া হয় না। মোদীর রাজত্বে সারা দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।’ রাজনৈতিক নেতাদের সবাই শ্রদ্ধা করেন, কিন্তু মোদীকে সবাই ভয় পায় বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।