ধুলো ও ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশের ৮ রাজ্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ইতিমধ্যেই আট রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪০ জনের। আর ওই আট রাজ্যের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গড় গুজরাতও। বিপর্যয়ের খবর পেয়েই নিজের রাজ্যের ঝড়ঝঞ্ঝা নিয়ে টুইটার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মোদী। কিন্তু এর ফলে এবার তাঁকে কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়তে হল। মোদীর উদ্দেশ্যে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রশ্ন, ‘আপনি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী না গুজরাতের?’
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘গুজরাতে অসময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে যে প্রাণহানি হয়েছে তাতে আমি চিন্তিত। মৃতদের পরিবারকে আমার সমবেদনা। প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। দুর্গতদের যাবতীয় সাহায্য দেওয়া হবে।’ এর পরের টুইটেই গুজরাটে মৃত ও আহতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় বিপর্যয় ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে। লেখা হয়, ‘গুজরাটের বিভিন্ন অংশে অসময়ের ঝড়বৃষ্টিতে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
এই টুইটের পরই ক্ষোভ উগড়ে দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। টুইটে মোদীর তিনি উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আপনি দেশের নাকি গুজরাতের প্রধানমন্ত্রী? মধ্যপ্রদেশেও ঝড়বৃষ্টিতে ১০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আপনার সমবেদনা গুজরাতেই সীমাবদ্ধ কেন? এ রাজ্যে আপনার সরকার না থাকলেও এখানেও কিন্তু মানুষ বাস করেন।’ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-ও মোদীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। নানা মহলে সমালোচনার পর শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর আর একটি টুইটে সব রাজ্যের ঝড়-ঝঞ্ঝার কথা উল্লেখ করে। এবং ক্ষতিপূরণও যে সব রাজ্যের জন্য, সে কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও নেভেনি বিতর্কের আগুন।
উল্লেখ্য, ধুলো ঝড় ও বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। মোদীর রাজ্য গুজরাতে নিহয় ১১ জন। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১ জন করে। উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১ ও পাঞ্জাবে ৩। আর হিমাচলপ্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।