সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সবার নজর রয়েছে বারাণসী কেন্দ্রের দিকে৷ মোদীর বিরুদ্ধে লড়ছেন রাজনীতিতে সদ্য আসা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সূত্রের খবর এমনটাই। রাজনীতিতে এসেই যেভাবে তিনি মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন তাতে হাওয়া যে যথেষ্ট বেগতিক তা ভালোই বুঝছে কেন্দ্র। সেই কারণেই এবার তাঁর উদ্দেশ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী।
ভোটে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে উদ্দেশে কটাক্ষের সুর চড়ান উমা ভারতী৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন৷ কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড়ালেও কোনও প্রভাব ফেলতে পারবেন না। তাঁর স্বামী চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত৷ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা চলছে৷ একাধিকবার হাজিরা দিতে হচ্ছে৷ তদন্তকারী সংস্থা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে৷ সেই ব্যক্তির স্ত্রীকে মানুষ কীভাবে ভোট দেবে? একজন চোরের স্ত্রীকে যেভাবে দেখা হয়, দেশের মানুষও প্রিয়াঙ্কাকে সেইভাবেই দেখবেন।’’
নিজে কুকথা বললেও, জয়াপ্রদাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য সপা নেতা আজম খানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি উমা৷ তাঁর দাবি, আজম খানের নির্বাচনে লড়াইয়ের অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত৷ কুমন্তব্যের জেরে যোগী আদিত্যনাথের প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশকে আবার ভাল চোখে দেখছেন না উমা ভারতী৷ এই প্রসঙ্গেও এদিন নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ যোগীর নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবি উমার৷ যেহেতু জয়াপ্রদা এখন বিজেপিতেই আছেন তাই আজমের লড়াইয়ের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলে এবং যোগীর প্রচার বন্ধের বিরুদ্ধে মুখ খুলে যে রীতিমত স্বজনপোষণ করলেন উমা, সেকথা বলছেন সকলেই।
শুধু প্রিয়াঙ্কা নয়, উমার কুমন্তব্যের তীর গিয়ে পৌঁছেছে রাহুল পর্যন্ত। লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি ও ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ এই প্রসঙ্গ তুলেও প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতিকেও কটাক্ষ করেছেন উমা ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের পরাজয় নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন রাহুল৷’’ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে এমন কুমন্তব্যের জেরে প্রবল বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী। রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে একজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না কেউই৷