গত চার দিন আগেই তাঁর মাতৃবিয়োগ হয়েছে৷ সেই অশৌচ অবস্থাতেই তৃণমূল দলের কান্ডারি হিসেবে গতকাল হাজির ছিলেন দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে। ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকে লোকপাড়া মাঠে দলীয় জনসভায় নির্বাচন কমশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “নির্বাচন কমিশন যদি ভাবে যা খুশি করে নেব, তাহলে বীরভূম তা মানবে না”। নির্বাচন কমিশনকে সকলেই শ্রদ্ধা করে। নির্বাচন কমিশনকে নিজের জায়গায় কাজ করুক, আমরা আমাদের জায়গায় কাজ করি। এমনটাই বলেছেন অনুব্রত।
আগামী সপ্তাহে বোলপুরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী, সিউড়িতে আসবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এদিন অনুব্রত মোদী এবং শাহকে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, “ছাগল যেভাবে চড়তে আসে ওনারাও আসবেন। তবে এলে কিছু লাভ হব বলে মনে হয় না। তৃণমূলই জয়ী হবে”। এবার ভোটের মুখেই তাঁর মা মারা গেছেন। এমনকি ভোট প্রচারের দিন মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। তাই সেই দিন পিছিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত। ভোট মিটলেই হবে মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাই দলকে সব দিক দিয়ে এগিয়ে রাখতেই এই শোকের সময়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি।
দলের নেতারা বলছেন, কেষ্ট দা এমনই। গত একবছর ধরে কলকাতা বীরভূম যাতায়াত করছে অনুব্রত মন্ডল। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। প্রতি ব্লকে কর্মিসভা করছেন। তৃণমূল কর্মীদের বোঝাচ্ছেন কিভাবে কি করতে হবে। মোটকথা তৃণমূলকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে মাঠে নেমে পড়েছেন অনুব্রত।