কিছুদিন আগে আয়াখসের মাঠে ড্র করতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল জুভেন্তাসের। তবে নিজেদের আঙিনায় ফিরে ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডোর গোলে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল তাঁরা। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো আয়াখসের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না জুভেন্তাস। গোল পেলেও জয় দিলেন না রোনাল্ডো।
নতুন ক্লাবে এসে লিগ জয়ের হাতছানি থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে ভাগ্য বদল হলো রোনাল্ডোর। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের হ্যাটট্রিকের পর চতুর্থ বছরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেলেন রোনাল্ডো। তাও আবার নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াখসের কাছে ঘরের মাঠে হেরে। ইতালিতে এসে ইতালির চ্যাম্পিয়ন ক্লাব জুভেন্তাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল আয়াখস। অ্যাওয়ে-হোম দু’ম্যাচেই গোল পেলেন রোনাল্ডো। কিন্তু সেই গোলও কাজে এল না। হারের যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো সিআর সেভেনকে।
জুভেন্তাস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতে আয়াখস। দুই বার মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় ১৯৯৬-৯৭ সালের পর এই প্রথম সেরা চারে জায়গা করে নিল দলটি।দারুণ এই জয়ে ব্যর্থতার এক বৃত্ত থেকেও বেরিয়ে এলো তাঁরা। আগের দশবারের দেখায় ইতালির দলটিকে কখনও হারাতে পারেনি তারা। ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় দুই দলের প্রথম ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।
গতকাল অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণ ছিল জুভেন্তাসের। রোনাল্ডোকে সামনে রেখে আক্রমণ তুলে আনছিলেন ডিবালারা। অন্যদিকে ডিফেন্স সামলে প্রতি আক্রমণের লক্ষ্যে নেমেছিল আয়াক্স। ২৮ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ফের হেডে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেনি সেই লিগ। ৩৪ মিনিটের মাথায় গোল করে সমতা ফেরান ডনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে আয়াখসের। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৬৭ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন ম্যাথিয়াস। অর্থাৎ জয়ের জন্য আরও দু’গোল করতে হতো জুভেন্টাসকে। সুযোগও এসেছিল। অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে হেডে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু কোনও সুযোগই কাজে লাগাতে পারেননি। বোঝা যাচ্ছিল, চাপের মধ্যে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারছিলেন না। শেষ মুহূর্তে মাথা গরম করে হলুদ কার্ডও দেখতে হয় তাঁকে।
জুভেন্তাসের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় ১৯৯৪-৯৫ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আয়াখস। সতীর্থের কর্নার থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন মাতাইস দি লিট। বাকিটা সময়ে কঠিন হয়ে যাওয়া সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি রোনাল্ডোরা।