বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী বা মেহুল চোক্সী’র মতো মোট ৩৬ জন ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। চপার কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত সুশেন মোহনেরও দেশ থেকে পালিয়ে যাবার সম্ভবনা আছে। অগস্তা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি চপার কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত সুশেন মোহন গুপ্তা’র জামিনের বিরোধিতা করে এনফোর্স ডিপার্টমেন্ট সোমবার আদালতে জানায় এই কথা। বিশেষ বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের এজলাসে ইডি’র পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। দুবাই থেকে প্রত্যার্পিত রাজীব সাক্সেনা’র গ্রেফতারের পরই চপার কেলেঙ্কারিতে সুশেন মোহন গুপ্তার ভূমিকার কথা প্রথম সামনে আসে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়।
আদালতে সওয়াল চলাকালীন ইডি’র আইনজীবী এস ভার্মা জানান, যে অগস্তা চপার কেলেঙ্কারির তদন্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় এসে পৌঁছেছে। তদন্তকারী সংস্থা জানার চেষ্টা করছে কে সেই রহস্যময় ‘আর জি’, একাধিকবার যার নামের উল্লেখ রয়েছে অভিযুক্ত সুশেনের ডায়রিতে। তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করেছে এবং তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করেছে, এই যুক্তিতেই সুশেন মোহন গুপ্তা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। জামিনের আবেদনে সুশেন মোহন জানান, তার অতীতের কার্যকলাপ প্রমাণ করে দেয় যে তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার যে আশঙ্কা ইডি’র তরফে করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ অমূলক। কিন্তু সুশেন মোহন গুপ্তা’র এই যুক্তিকে খণ্ডন করে তদন্তকারী সংস্থার তরফে সরকারি আইনজীবী ডি.পি সিং এবং এন.কে মাত্তা বলেন, “মালিয়া, ললিত মোদী, নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী এবং স্টারলিং বায়োটেক লিমিটেডের সান্দেসারা ভাইদেরও সামাজিক শিকড় অনেক গভীরে ছড়ানো ছিল তবু তারা দেশ ছেড়েছে। এরকম ৩৬ জন ব্যবসায়ী গত কয়েক বছরে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছিল”।