বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই জোরকদমে প্রচার করছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। দিন রাত এক করে জনসংযোগ করছেন তাঁরা, তীব্র রোদ উপেক্ষা করে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের কাছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার তারকেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত ধনেখালি থানার পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করছেন চুটিয়ে। অপরূপা জানালেন, “মানুষ ভীষণ সাড়া দিচ্ছেন প্রচারে। সবাই মমতার উন্নয়নেই আস্থা রাখছেন”।
অপরূপা সকাল থেকেই রোড শোয়ের মধ্য দিয়ে চৌতাড়া, পারাম্বুয়া সাহাবাজার,বান্না,মাঠবিষ্ণুপুর, নারায়ণপুর,গোপীনগর, দেওড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ভোটারদের কাছে পৌঁছে যান। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কোথাও শাঁখ বাজিয়ে, কোথাও বা ফুল ছড়িয়ে প্রার্থীকে অভিনন্দন জানান। তৃণমূল আমলে এলাকার উন্নয়নকে সামনে রেখেই মানুষের মন জয় করছেন তিনি। প্রচারের সফরসঙ্গী ছিলেন ধনেখালি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কিষাণ ক্ষেতমজুর সংগঠনের হুগলি জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়, তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত।
তারকেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত ধনেখালি থানার গোপীনাথপুর ১ ও ২ নম্বর, পারাম্বুয়া সাহা বাজার সহ ৫টি অঞ্চলে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন রামেন্দু সিংহ রায়। এই পাঁচটি অঞ্চলের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। লোকসভা হোক বা বিধানসভা — তৃণমূলের জয়ের প্রধান কারিগর এই পাঁচটি অঞ্চলই। তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল ২৬ হাজার ৭০০ ভোটে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে ছিল এই পাঁচটি অঞ্চল থেকে।
তারকেশ্বর পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। গত বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বর পৌর এলাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে তারকেশ্বর বিধানসভা থেকে ৪৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ধনেখালি এলাকায় প্রচার শেষ করে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, এবারের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস গত লোকসভা ভোটের থেকে বেশি ভোটে জয়লাভ করবে।