ভোট প্রচারে বেরিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন। তার জেরেই গতকাল নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েন বহুজন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা কোনও দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না বহেনজি। এমনই নিষেধাজ্ঞা সোমবার জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বহেনজি। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রইল বিএসপি সুপ্রিমোর ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ তারিখ দেওবন্দের একটি নির্বাচনী প্রচারে মায়াবতী বলেছিলেন, ‘আমি মুসলিমদের বলব আপনারা বন্ধুত্ব এবং আত্মীয়তার খাতিরে ভোট ভাগ করবেন না। আপনারা যদি চান উত্তর প্রদেশে বিজেপি হারুক তাহলে ভোট ভাগ হতে দেবেন না। মহাজোটে সবাই মিলে ভোট দিন। এটা আমার আবেদন, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে।’
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়ে দেয়, ‘পৃথকভাবে আবেদন করুন। আমরা এখন আপনার কথা শুনব না। আমাদের এখন কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার নেই।’
সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়াকে জোর ধাক্কা হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সুতরাং মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যাবে। সেখানে মঙ্গলর প্রচার করতে পারবেন না বহেনজি। কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তাত কোনও লাভ হল না তাঁর।
উল্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে কমিশন আমাদের নির্দেশে কাজ করছে। বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারে। এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার এখন আর কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের প্রচারে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে এসে লাভ নেই।