উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীনই অভিযোগটা তুলেছিলেন। বছরের প্রথম দুপুরে কংগ্রেসের খাসতালুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, জেলার দুই কংগ্রেস প্রার্থী আদতে আরএসএস-এর ছায়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার সিআরজিএস মাঠে এবং ভগবানগোলার লিয়াকতনগরে – দু’টি জনসভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আরএসএস সদলে বাংলায় এসে কংগ্রেসের হয়ে দু’টি আসনে খাটছে। বেলডাঙায় মমতা বলেন, ‘বিজেপি-কংগ্রেস আঁতাঁতের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে। এ জেলায় জঙ্গিপুর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন প্রণববাবুর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। বাবা গিয়েছিলেন নাগপুরে আরএসএস দফতরে, তারই পুরস্কার পাচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী। বহরমপুরে অধীরের হয়েও নেমে পড়েছে আরএসএস’।
বৈশাখের রোদে পুড়েও ভগবানগোলার মাঠ উপচে পড়েছিল শুধু মমতাকে একবার দেখার জন্য। সেখানে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কংগ্রেসের ওই দুই প্রার্থীকে বলি, মুখ খোলাবেন না। আপনারাও ভেবে দেখুন, এঁদের ভোট দিলে পরোক্ষে আরএসএসকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে কি না’! প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের বিরুদ্ধে মমতা সুর চড়িয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, বেশ কয়েকটি খুনের মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।’ মমতার কটাক্ষ, ‘কই, এক বারও তো তাঁকে ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করতে দেখলাম না!’
অধীর-অভিজিৎ-আএসএসের পাশাপাশি মমতার আক্রমণের তালিকায় ছিল মোদীর ‘মিথ্যাচার’, সিপিএমের ‘ভীরুতা’ কিংবা কংগ্রেসের ‘গটআপ ম্যাচ’ খেলা। নাম না-করে এ দিন দু’টি সভাতেই মমতার প্রশ্ন, ‘আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও পুলওয়ামা কাণ্ড হতে দিয়েছেন কেন?’ সংখ্যালঘু প্রভাবিত মুর্শিদাবাদের মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন, ‘এখানে কোনও নাগরিক পঞ্জির ভয় নেই’।