‘বিয়াল্লিশে-বিয়াল্লিশ যদি চাই তাহলে বহরমপুরও চাই, জঙ্গীপুরও চাই, মুর্শিদাবাদও চাই’। আজ সোমবার অধীরের খাসতালুক মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে এভাবেই গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে আগের তুলনায় অনেকটাই শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেসের, অনেক শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। তাই এবারে মুর্শিদাবাদের ৩টি কেন্দ্র থেকেই জয় হাসিল করতে চাইছেন মমতা।
তাই অধীরের খাসতালুকে মমতা প্রথমেই আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকে। বেলডাঙায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘রাম, বাম ও কংগ্রেস এক হয়েছে৷ বহরমপুর-জঙ্গিপুরে আরএসএস কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। প্রণববাবু নাগপুরে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর ছেলেকে জেতাতে জঙ্গিপুরে আরএসএস কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে। যারাই সকালে কংগ্রেস, তারাই দুপুরে সিপিএম আর রাতে বিজেপি। রাম আর বাম, আর এখন মাঝখানে শ্যাম এসে জুটেছে। জগাই-মাধাই আর গদাইয়ের জোট হয়েছে’। স্পষ্ট বলেন, ‘কংগ্রেস সিপিএমের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই একে একে কংগ্রেস বিধায়করা আমাদের সঙ্গে আসছেন’।
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে সংগঠন বাড়াতে প্রচুর কাজ করেছে তৃণমূল। এই জেলা থেকে বিধায়ক ও পঞ্চায়েতের সব স্তরে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন৷ জেলা পরিষদও আমাদের৷ কিন্তু সাংসদ নেই৷ তাই এবার পালটে দিন৷’ জেলায় তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও দেন মমতা। বিশেষ করে, মুর্শিদাবাদবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা।মূলত কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও চেনা ভঙ্গিতে বিজেপিকেও নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ তাও বুঝিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। তবে, এদিনের জনসভা থেকে মমতা যেভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় স্তরে কংগ্রেস-তৃণমূলের যতই সদ্ভাব থাক, এরাজ্যে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।