রামনবমীর মিছিল, কিন্তু অস্ত্র ছাড়া। তৃণমূল দেখিয়ে দিল কিভাবে অস্ত্র ছাড়াও রামনবমীর মিছিল করা যায়। শান্তির বার্তা দিতে বিজেপি–র অস্ত্র মিছিলের পাল্টা নিরস্ত্র মিছিল করল তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁরা ভাগ করে নিলেন রামনবমীর আনন্দ। রামনবমী উপলক্ষে রবিবার এমনই দুই বিপরীত চিত্র ধরা পড়ল জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
বীরভূমের রামপুরহাটের ভাড়শালা মোড়ে হনুমান মন্দিরের সামনে তৈরি করা হয়েছে ধনুকহাতে রামের বিশাল মূর্তি। সকালে সেখানে রামনবমীর পুজো দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস ব্যানার্জি। মন্ত্রী নিজে হাতে লাড্ডু বিতরণ করেন। পুরুলিয়া শহর–সহ কাশীপুরে আয়োজিত রামনবমীর মিছিল ঘিরে প্রবল উৎসাহ দেখা গেল। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায় এদিন রামভক্তরা হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। অন্যদিকে, বারাসতের তৃণমূল প্রার্থীর জয় কামনায় নিজের বাড়িতে রামনবমী উপলক্ষে যজ্ঞ করলেন তৃণমূল যুব নেতা প্রদীপ সিং।
গতবার রামনবমীকে কেন্দ্র করে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা যাতে এবার না হয়, তার জন্য আসানসোল– দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, এবার রবিবার রামনবমী হলেও অনেক সংগঠন তাদের মিছিল মঙ্গলবার বা বুধবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন খড়্গপুর গ্রামীণের মাদপুরে রামনবমী উপলক্ষে মিছিল করেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। শান্তির আবহকে বিঘিন্ত করতে অশোকনগরে এদিন অস্ত্র হাতে নিয়ে বেরিয়েছিল একটি মিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন হাবড়া ২ ব্লকের বিজেপি–র গ্রামীণ যুব সভাপতি সুশান্ত গাঙ্গুলি। এদিকে শনিবার রাতে খড়্গপুরের বিভিন্ন শোভাযাত্রায় কখনও গদা, কখনও তলোয়ার, কখনও ত্রিশূল হাতে দেখা যায় বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সাংবাদিকরা এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এবার কি একে ৪৭ নিয়ে মিছিল করব?” নির্বাচন বিধি ভেঙেছেন এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, “নির্বাচন কমিশন শোকজ করুক। মুখের মতো জবাব পাবে”।