রবিবার রামপুরের প্রাক্তন সপা সাংসদ জয়াপ্রদাকে আক্রমণ করেন আজম খান। নাম না করে জয়াকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আজম খান বলেন, ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম ওর পোশাকের নীচে অন্তর্বাসের রঙও খাকি। মহিলাদের প্রতি অশালীন মন্তব্যের জেরে বেজায় বিপাকে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রভাবশালী নেতা আজম খান। রামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী আজম খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। মহিলার ‘সম্ভ্রমহানি’র অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, নাম না করলেও এই বিতর্কিত মন্তব্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রামপুর কেন্দ্রেরই বিজেপি জয়াপ্রদাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছিলেন। শুধু পুলিশই নয়, সক্রিয় হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে আজম খানের প্রার্থী পদ বাতিলের আর্জি জানাবেন তাঁরা।
আজম বলেন বলেন, ‘‘আমি ওনাকে রামপুরে নিয়ে এসেছিলাম। আপনারা সাক্ষী আছেন, আমি কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত দিইনি। আপনাদের তাঁর প্রকৃত রূপ চিনতে ১৭ বছর লেগে গেল। কিন্তু আমি ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম, উনি খাকি অন্তর্বাস পরেন।’’ আজম খান যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন মঞ্চেই ছিলেন এসপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও। কিন্তু তাঁকেও প্রতিবাদ করা বা আজম খানকে থামাতে দেখা যায়নি।
পুলিশেই অবশ্য বিষয়টি থেমে নেই। আজ সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আজম খান সব সময় মহিলাদের নিয়ে নোংরা কথা বলেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। মহিলা কমিশন স্বতপ্রণোদিত ভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং তাঁকে নোটিস পাঠানো হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখছি। কারণ, এ বার ওঁর উচিত শিক্ষা হওয়া উচিত। ওঁকে থামানোর এটাই আদর্শ সময়। মহিলারা যৌন পণ্যের বিষয় নয়। আমি মনে করি, মহিলাদের ওঁকে ভোট দেওয়াই উচিত নয়।’’