নতুন পদ্ধতিতে খুশি না হয়ে পুরোনো পদ্ধতিকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছেন কংগ্রেস-আপসহ দেশের বিরোধীরা। ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারেই ভোটগ্রহণ করা হোক বলে দাবি তোলেন তাঁরা। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট আসন্ন। আর তার মাঝেই এই দাবিতে সরব হন বিরোধীরা।
রবিবার দুপুরে দিল্লিতে চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে বৈঠক করেন কংগ্রেস, আপ সহ ছয়টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নাইডু বলেছেন, ‘আমরা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছি। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর একমাত্র উপায় ভিভিপ্যাট। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস্–এর মতো দেশগুলিও ব্যালট প্রক্রিয়ায় ফিরে গিয়েছে।’ একই সুরে গলা মেলান দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন যে মানুষ ইভিএম–এর উপর আস্থা হারিয়েছে। বিজেপিকে জেতানোর জন্যই ইভিএম–এ কারচুপি করা হয়।
শুধু দাবি তুলেই ক্ষান্ত থাকেননি বিরোধীরা। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যদি এটা পাত্তা না দেয় তাহলে আমরা অন্য উপায় দেখব। এমনই কথা শোনা গেছে কপিল সিবলের মুখে। আর ‘অন্য উপায়’ মানে যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া সে কথাই বোঝা গেল অন্য এক বিরোধী নেতার কথায়। প্রসঙ্গত, কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যদি ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট যাচাই হয় তাহলে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে ছয় দিন লেগে যাবে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত বিরোধীরা। অভিষেক মনু সিংভি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে শারীরিক উপস্থিতি যাচাই না করেই কয়েক লক্ষ ভোটারদের নাম অনলাইনে মুছে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে দলগুলি। অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গোণা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। তাই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ই দাবি জানাবে বলে জানান এই নেতা।