শুক্রবার সকালে ফুলিয়াতে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস। নির্বাচনে জয়লাভের পর সংসদে তাঁতশিল্পীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরতে চান তিনি, এমনটাই জানালেন প্রার্থী।
প্রচার শুরুর দিক থেকেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রুপালিদেবী তাঁতশিল্পী ও তাঁতশিল্পের উপর আলাদা গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফুলিয়াতে প্রচারে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়লাভের পর পার্লামেন্টে গিয়ে এই তাঁতশিল্পীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরব। আগামী দিনে তাঁতশিল্পী ও তাঁত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যাতে কোনওরকমভাবে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেই বিষয়টির উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে।
এদিন সকালে তিনি ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে পদযাত্রা করে ফুলিয়ার একাধিক তাঁত কাপড়ের সমবায়ে যান। তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তাঁতশিল্পীদের আগামী দিনে যাতে কোনওরকমভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, সেবিষয়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলেন প্রার্থী। জিএসটি ও নোটবন্দির জেরে শান্তিপুরের তাঁতশিল্পী-সহ ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই নির্বাচনের আগে তাঁত ব্যবসায়ীদের ভোট তৃণমূলের দিকে টানতে আগে থেকেই প্রচার চালাচ্ছিল তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা।
তাঁতশিল্পীদের ইস্যুকে সামনে রেখেই এদিন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জোরদার প্রচার সারেন রূপালী বিশ্বাস। পাশাপাশি তাঁতশিল্পী ও তাঁত ব্যাবসায়ীদের ভোটে যাতে কোনওরকমভাবেই বিরোধীরা থাবা বসাতে না পারে সেই বিষয়টির উপর তৃণমূল নেতৃত্ব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন যে, “কেন্দ্রীয় অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তাঁতশিল্প। তাতে তাঁতশিল্পীরা সমস্যায় পড়েছেন। শিল্পীদের এই কথাই আমি দিল্লির দরবারে তুলে ধরতে চাই”।
ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া এদিনের পদযাত্রা ও মিছিল ফুলিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ফুলিয়া টাউনশিপ, গ্রাম পঞ্চায়েত, নবলা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন সরকার, নদীয়া জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ পম্পা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মণিকা সরকার সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিন প্রার্থী কখনও পায়ে হেঁটে বাজার এলাকায়, কখনও আবার হুডখোলা গাড়িতে শান্তিপুর ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার করেন। সকাল থেকেই প্রার্থীকে দেখার জন্য গ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ রাস্তার দু’ধারে ফুল হাতে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। সেইসঙ্গে তৃণমূলের যুবকর্মীরাও মোটরবাইক নিয়ে মিছিলে অংশ নেন।