আবারও দাদা-রাজার যুদ্ধ এবং আবারও হাসতে হাসতে রাজাকে পরাজিত করলেন দাদা৷ রাসেলের রথ থামিয়ে ইডেনের বুকে গব্বরের গর্জন। আবার অন্য ভাবে বললে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোঁয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডেরায় দিল্লি ক্যাপিট্যালসের দাদাগিরি৷ হোম এবং ওয়ে দুই ম্যাচেই কলকাতা দুরমুশ হল দিল্লীর দাদাগিরিতে৷
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় কলকাতাকে। শুরুতেই নতুন বিদেশি জো ডেনলির উইকেট হারায় কলকাতা। কিন্তু অন্য ওপেনার শুভমান গিল এ দিন ভালো ছন্দে ছিলেন। ৩৯ বলে ৬৫ করে আউট হন তিনি। মাঝে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। ঠিক তখনই ফের ইডেনে উঠল রাসেল ঝড়। ২১ বলে ৪৫ করলেন তিনি। কিন্তু রাসেল আউট হয়ে যাওয়ায় শেষ দু’ওভারে রান কম ওঠে কলকাতার। শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানে শেষ হয় নাইটদের ইনিংস।
ইডেনের বাইশ গজে শিখরের শরীর থাকলে ডাগ আউটে বসে রিমোটটা যেন ধরে রেখেছিলেন বেহালার বাঁ হাতি। ৬৩ বলে ৯৭ নট আউটের ইনিংসে শিখরের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ১১ চার, দুটো ছক্কা। ৮ বলে ৫ রান বাকি এই অবস্থায় কলিন ইনগ্রাম ছক্কা না হাঁকালে, জীবনের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটা বাঁধা ছিল। কিন্তু সে আক্ষেপ মিটিয়ে শিখরের ইনিংস হাসি ফোটাতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিশ্বকাপের আগে দায়িত্ববোধের নতুন সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছেন দিল্লীর বাঁ হাতি।
১৭৯ টার্গেট নিয়ে নেমে ৭ বল আগে জিতে যাওয়া দিল্লির। তবে কথা রাখতে পারেননি ঋষভ। কোচ রিকি পন্টিং চেয়েছিলেন, শেষ চার ওভার ক্রিজে থাকুক পন্থ। সে জন্য স্নেহের ভর্ৎসনা তাঁকে করতেই পারেন পন্টিং। ৩১ বলে ৪৬ করতে গিয়ে মেরেছেন চারটে বাউন্ডারি, দুটো ওভার বাউন্ডারি। তার চেয়েও বড় কথা, খেলেছেন বলের মেরিট অনুযায়ী।
দুই বাঁ হাতির ৬৯ বলে ১০৫ রানের পার্টনারশিপেই ৭ উইকেটে অনায়াস জয়। সেটাও আবার ৭ বল আগে। কোটলার হারের প্রতিশোধ তো হলই না, উল্টে টানা দু’ম্যাচে হার। এ সব যখন ঘটছে, তখন আবার শহরে পা রেখেছেন সস্ত্রীক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাংলা বছরের শেষ দিন কেকেআর কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে?
দিল্লী যে শুধু দুর্ধর্ষ জিতল তাই নয় সেই সঙ্গে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে চেন্নাই ও কলকাতার পরেই তিন নম্বরে উঠে এল দিল্লী। ঘরের মাঠে বসে কলকাতার হার উপভোগ করলেন সৌরভ। খেলা শেষে তাঁর মুখের হাসিই সেটা বুঝিয়ে দিল। আসলে এখন আইপিএলে যে দিল্লীই তাঁর ঘর-বাড়ি।