সপ্তদশ লোকসভা ভোট শুরু হয়ে গেছে। ঠিক এই সময়েই প্রকাশ্যে চলে এল মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের মতবিরোধ। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ নিয়ে খুশি দিলীপ। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘ভোট ভাল হয়েছে। লুটের চেষ্টা করেছিল, তবে পারেনি’। কিন্তু উল্টো সুর মুকুলের গলায়। রাজ্য সভাপতির বক্তব্যের ৩৬০ ডিগ্রি বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুকুল বললেন, ‘নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। পুননির্বাচন করানোর দাবি জানাচ্ছি’।
দুই নেতার এমন পরস্পরবিরোধী মন্তব্যের মাঝে পড়ে ধাঁধায় বিজেপির সাধারণ কর্মী-সম র্থকরা। কোন নেতার দাবির সমর্থনে নিজেরা গলা মেলাবেন তা নিয়েই এখন ধন্দে তাঁরা। আর এই সুযোগে ফের শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। দুই নেতার অনুগামীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন দেদার। মুকুলের অনুগামীরা বলছেন, ‘দিলীপদা ভোট বোঝেন না। তাই এসব বলছেন’। অন্যদিকে দিলীপ অনুগামীদের বক্তব্য, রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে কী করে মুকুলবাবু পুননির্বাচনের দাবি জানালেন? এমন চলবে না’।
প্রথম দফার ভোট নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভোট ভাল হয়েছে। চেষ্টা করেছিল, তবে লুট করতে পারেনি। রবিবাবুর (উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী) গুন্ডারা এসেছিল। আমরা মেরেছি। তাই রবিবাবু চুপচাপ। এখন কড়লা খাচ্ছেন। সব নেতাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করছি’। অন্যদিকে উল্টো সুরে গেয়ে মুকুলের বক্তব্য, ‘নির্বাচন কমিশন কাজে একদম খুশি নই। পুননির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি’।
সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে রাজনীতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। আর তাতেই বেরিয়ে আসছে গেরুয়া শিবিরের দুই নেতার মতবিরোধ। রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতেই বিজেপির দুই নেতা দুরকম কথা বলছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথম দফার ভোট নিয়ে কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের বক্তব্য,’ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করেছে’।
