স্বচ্ছতার প্রশ্নে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে ইতিমধ্যেই টেক্কা দিয়েছে মমতার তৃণমূল। ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানতে চেয়ে এক সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেল একমাত্র তৃণমূলেই সঠিক পথে আয় হয়। যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আসে এবং এক্ষেত্রে বিজেপি এক নম্বরে। এবার রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী তহবিলের বিস্তারিত তথ্য এবার চলে আসবে জনসমক্ষে। এমনই এক সম্ভাবনা উঠে এল ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে।
আজ নির্বাচনী বন্ড নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে তাদের নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া অনুদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ মে পর্যন্ত পাওয়া অনুদানের হিসেব ৩১ মে-র মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে।
শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলকে মুখবন্ধ খামে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া অনুদানের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। সেখানে থাকবে দাতা ও অনুদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি সঞ্জীর খান্নার বেঞ্চ এদিন মন্তব্য করে, আইনজীবী প্রশান্তভূষণ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছন তা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখন দাবি উঠেছে, কে কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকা দিচ্ছে তা প্রকাশ্যে আনা হোক। এই নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে একটি সংগঠন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ সালে বিজেপি বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান পেয়েছে ৯৯৭ টাকা। ওই টাকার মধ্যে তারা ৫২৯ কোটি টাকার হিসেব নির্বাচন কমিশনকে দেখিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ ৪৬৮ কোটি টাকা তারা পেয়েছে নগদে। ৪৯ বছরের দল হলেও অনির্দিষ্ট সূত্রে আয়ের ক্ষেত্রে কংগ্রেসকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। জানহা গেছে, বিজেপির মোট আয়ের পরিমাণ ১০২৭ কোটি টাকা, আর এর মধ্যে ৫৫৩ কোটি টাকাই অনির্দিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে আসে।এই ভাবে বিজেপির আয় বেড়েছে প্রায় ৯৬%। লোকসভা ভোটের খরচ হিসাবে বিজেপির বরাদ্দ ৫৬৭ কোটি টাকা। এই অনির্দিষ্ট সূত্রে আয়ের যাবতীয় হিসেব এবার বিজেপিকে দিতে হবে শীর্ষ আদালতে।