বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে প্রথম দফার ভোট। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট শেষ হবার পর কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। রাজ্য পুলিশের প্রশংসাও করেছেন তিনি। অথচ এরপরেও কোচবিহারের ১৬৪টি বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
এখানেই শেষ নয়। গেরুয়া শিবিরের তরফে জমা পড়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এমনকী কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক কমিশনের আঞ্চলিক দফতরে গিয়ে সন্ধ্যায় ধরনায় বসেন। অথচ কংগ্রেস এবং বামেদের তরফে সে অর্থে তেমন কোনও বড় অভিযোগ এখনও পর্যন্ত তোলা হয়নি।
এখন প্রশ্ন, তাহলে বিজেপি কেন তুলল? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় পদ্মবাগান তৈরিতে উত্তরবঙ্গকেই পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটিকে নিজেদের জন্য ‘নিরাপদ’ ভেবে রেখেছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা। কিন্তু সাড়া দিনের ভোট মেটার পর বিজেপির একটা বড় অংশের ধারণা এই দুই কেন্দ্র পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এখন রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে আগাম মুখ বাঁচানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি।
এই জন্যই আজ সারাদিন বিজেপির বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ উঠেছে। উঠেছে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগও। কিন্তু লাভ হয়নি কিছু। তাই এখন বিজেপি রিগিং আর পুননির্বাচনের দাবি তুলছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
