ঘটনা ১– রাজ্যের অন্যতম জনবহুল এলাকা উদয়পুর৷ সেখানেই প্রকাশ্যেই ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে৷ আক্রন্ত হলেন এক তরুণী ভোটার। তাঁকে যেভাবে ঘিরে ধরা হয়েছে তা দেখে স্তম্ভিত জনসাধারণ৷ রীতিমতো অশালীন স্পর্শের অভিযোগ করেছেন বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ হাতে ভোটার কার্ড নিয়ে ওই তরুণী সরাসরি ভোট দিতে মরিয়া৷ তবে তিনি ভোট দিতে পেরেছেন কিনা তা জানা যায়নি৷
ঘটনা- ২ অন্য আরেকটি কেন্দ্রে এক বৃদ্ধা ভোটার তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছিলেন৷ তাঁকেও ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি৷ সরাসরি ছাপ্পাবাজদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়েন৷ জানিয়ে দেন, ভোট না দিয়ে নড়বেন না তিনি৷ বৃদ্ধার হুমকির জেরে পরে ভোট কেন্দ্র থেকে সাময়িক সরে যায় ছাপ্পাবাজরা৷
ঘটনা -৩ তরুণী বারে বারে বলছিলেন তিনি ভারতীয়, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চান৷ তবুও তাঁকে বাঁধা দিচ্ছিল কয়েকজন বিজেপি কর্মী৷ একসময় তিনি রুখে দাঁড়ান। আর তাতেই পালায় হামলাকারীরা৷
ত্রিপুরার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ঘিরে এভাবেই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিভিন্ন কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের হেনস্থার ঘটনায় ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও সরব হচ্ছেন ভোটাররা৷ এদিকে ভোট দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা মহারাজা প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা জানান, ‘নির্ভয়ে ভোটদানের পরিবেশ তৈরি না করলে চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে’৷ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে তাঁর হুঙ্কার, ‘যারা জড়িত, যে মন্ত্রীরা এই ঘটনার মদত দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে’৷
