লোকসভা ভোট শুরুর ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে, বুধবার রাফালে ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ফাঁস হয়ে যাওয়া রাফাল নথিকেই প্রামাণ্য বলে গ্রহণ করবে তারা। যা নিয়ে ভোটের মুখে বেজায় অস্বস্তিতে মোদী-শাহেরা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রাফাল মামলায় যে রায় দিয়েছিল তাতে প্রায় যুদ্ধজয়ের মেজাজ ছড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের অন্যতম প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। বুধবার সেই পুনর্বিবেচনা আর্জির মামলাতেই এল প্রথম দফার জয়।
কোর্টের রায় শুনে প্রথম কী মনে হয়েছিল যশবন্তের? ঝটিতি জবাব প্রাক্তন মন্ত্রীর, ‘যে রকম টুইটে লিখেছি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার আসলে একটি মিথ্যুকের সরকার। সে মিথ্যে এ বার ধরা পড়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত।’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কোর্টকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মামলাও চলবে। কালক্ষেপ না করেই যে পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করে দেওয়া হবে, সে কথা সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যশবন্ত।
তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা প্রথম বাধা পেরিয়েছি। প্রকাশ্যে যে সমস্ত নথি এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, রাফাল চুক্তির বিভিন্ন দিক তদন্ত করে দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ বার সেই ভিত্তিতেই আমাদের সওয়াল করতে হবে।’ পরিণতি নিয়ে ঠিক কতটা প্রত্যয়ী তিনি? আত্মবিশ্বাসী যশবন্তের দাবি, ‘ভুয়ো তথ্য দিয়ে আদালতকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছে সরকার। যে তথ্যগুলির ওপর আমার ভরসা করছি, তা দ্য হিন্দু পত্রিকাতেও প্রকাশিত। সেগুলি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করে যে সরকার মিথ্যে বলেছে। মিথ্যে বলে কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে …।’
এর পরেই প্রশ্ন আসে, তা হলে কি এ জন্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ চেয়ে মামলা করা উচিত? যশবন্তের বক্তব্য, ‘নিশ্চয়ই। সরকারের বিরুদ্ধে এ জন্য আলাদা মিথ্যাচারের মামলা রুজু করেছি আমরা। আদালতকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের বিচার হওয়া উচিত।’ তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘রিভিউ পিটিশনের পাশাপাশি আমরা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মামলাও লড়ব।’