[Total_Soft_Poll id=”2″]
হাতে আর ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোটের আগেই গোষ্ঠীকোন্দল, ‘বহিরাগত প্রার্থী’ নিয়ে টানাপোড়েন থেকে শুরু করে একাধিক কারণে বাংলায় জমি হারাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এ রাজ্যে তাদের সংগঠনের অবস্থা এতটাই বেহাল যে আগের বারের দুই জেতা আসনও হারাতে হতে পারে বিজেপিকে। যা নিয়ে চিন্তায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তাই সাতটি সভা করার কথা থাকলেও মোদীর বাংলায় সভায় সংখ্যা একধাক্কায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হল ১৬টি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘প্রথমে ঠিক ছিল ৭টি সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই আরও বেশি সভা করতে চাইছিলেন। তাই ১০টি সভার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’ কিন্তু রাহুল এ কথা বললেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টক্কর দেওয়ার মতো কোনও নেতাই নেই রাজ্য বিজেপিতে। তবে দিল্লী থেকে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের এনেও দেখা গেছে বাংলার বাঘিনীর বিরুদ্ধে সেভাবে আক্রমণ শানাতে পারেননি কেউই। এমনকি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’ও ধারে ও ভারে তৃণমূল নেত্রীর ধারেকাছে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এখন শেষ ভরসা সেই মোদীই।
প্রসঙ্গত, এই লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে যত বেশি সম্ভব আসন পেতে মরিয়া মোদী। সে কথা নিজে মুখেও বারবারই বলেছেন তিনি। তবে এখনও যা পরিস্থিতি, এবারও তাঁর বাংলা জয়ের স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে, এ কথা ভাল মতোই টের পাচ্ছেন। অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় এবার ২৩। তবে মোদী ভক্ত মিডিয়ারা কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে ঠান্ডা ঘরে বসে জবরদস্ত সার্ভে করেও দশের বেশি উঠতে পারেনি। তাই রাজ্য নেতাদের ওপর আর ভরসা না রেখে নিজেই একবার করে দেখতে চাইছেন মোদী। এবং সে কারণেই বাংলায় পুরোদমে আসরে নামছেন তিনি।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
বাংলাকে এভাবে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় এ কথাই প্রমাণ হচ্ছে যে, মমতার রাজ্য নিয়ে যথেষ্টই সংশয়ে ‘চৌকিদার’। মমতার বিরুদ্ধে জোর ফাইট দিয়ে এ রাজ্যে বিজেপির হোয়াইট ওয়াশ ঠেকানোই তাঁর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিগত ৫ বছর ধরে শুধু ভাষণ দিয়ে যাওয়া ‘জুমলাবাজ’ মোদী আদৌ কি টিকতে পারবেন মমতার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের সামনে? এ প্রশ্ন উঠছেই।