এই লোকসভা ভোটের মরশুমে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁরা সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে, বাংলার উন্নয়ন করতে গেলে মমতার মা-মাটি-মানুষের পাশে থাকতেই হবে। তাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন বহু মানুষ। গতকালও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শ’পাঁচেক মানুষ। বাসন্তীর মোকামবেড়িয়া স্টেশন থেকে ক্যানিং-এ এসে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। এরমধ্যে রয়েছে গণেশ সর্দার ও সন্ধ্যা সর্দার নামে দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য।
সোমবার ক্যানিং-এ জয়নগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলের সমর্থনে একটি কর্মী সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে সমরেশ দলুইয়ের নেতৃত্বে এই বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। এই কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন সাংসদ শুভাশিষ চক্রবর্তী, বিধায়ক শ্যামল মন্ডল, পরেশ দাস প্রমুখ। এই সম্মেলন থেকে তৃণমূলের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বার কথা বলেন প্রার্থী।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
পারুইপাড়া থেকে শান্তনুর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা অরুণ বাছারের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। গতকাল মালদা জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা ঘোষ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিছুদিন আগেই অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএম নেতা শুকদেব মাহাতো। তাঁদের সকলের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা নাগ। তাছাড়াও প্রায় ৩০০ অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দুই বিজেপি নেতা সঞ্জিত মালিক এবং সুদীপ মালিক। সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের নেতৃত্বেও বহু বিজেপি কর্মী এসেছেন তৃণমূলে। ভাটিনায় সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে এলাকার শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন। শতাব্দী তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
বাংলার উন্নয়নের জন্য, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য, একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন। তাই তৃণমূলে যোগ দিলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা যাবে তা বুঝতে পেরেছেন অন্যান্য দলের কর্মীরা। তাই তাঁরা সকলেই মমতার ছত্রছায়ায় আসতে উদ্যোগী হয়েছেন। ভোটের মুখে তাই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরেছে।
[Total_Soft_Poll id=”3″]