বাংলার সাধারণ মানুষের জন্যে উন্নয়ন করতে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন। তাঁর হাত ধরেই পাহাড় থেকে সমতল, হাল বদলেছে সব জায়গার। তাই তাঁর এই উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হওয়ার জন্যে সমস্ত বিরোধী দলগুলি থেকে কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। কারণ মানুষের জন্যে কাজ করার জন্যে জায়গা এই একটাই। ভোটের মুখে তাই বিরোধী শিবিরের ভাঙন অব্যাহত। সকলে আসছেন মমতার ছত্রছায়ায়।
গতকাল মালদা জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা ঘোষ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা মনে করছেন,ভোটের আগেই কংগ্রেস শিবিরে এমন ভাঙনে শক্তিশালী হবে মালদা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর। বন্দনা জানিয়েছেন, তিনি সবসময় চেয়ে এসেছেন মানুষের জন্যে কাজ করতে। কিন্তু কংগ্রেসে থেকে তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই উন্নয়নের কান্ডারী মমতার হাত শক্ত করতে এলেন তৃণমূলে।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
অন্যদিকে গতকাল প্রায় ৫০০ জন বিজেপি কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। বাসন্তীর মোকামবেড়িয়া এলাকা থেকে এসে কর্মীরা যোগদান করেন। সমরেশ দলুইয়ের হাত থেকে পতাকা নেন তাঁরা। ভোটের ঠিক আগেই এতজন কর্মীর দলত্যাগ এক বড় ধাক্কা পেল বিজেপি। ওই কর্মীরা সকলেই জানিয়েছেন, বিজেপির নেতারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। কাজের কোনও সুযোগ নেই।
কিছুদিন আগেই অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএম নেতা শুকদেব মাহাতো। তাঁদের সকলের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা নাগ। তাছাড়াও প্রায় ৩০০ অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দুই বিজেপি নেতা সঞ্জিত মালিক এবং সুদীপ মালিক। সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত।
অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন এই জল্পনা শুরু হতেই তাঁর অনুগামী মতুয়ারা ঠাকুরবাড়িতে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পারুইপাড়া থেকে শান্তনুর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা অরুণ বাছারের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অরুণ বলেছেন ‘শান্তনু ঠাকুর বেইমান, মিথ্যেবাদী। আমাকে নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করেছেন। চ্যালেঞ্জ করে বলছি পারুইপাড়া থেকে শান্তনুকে কেউ ভোট দেবে না’।
তাছাড়াও, বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের নেতৃত্বেও বহু বিজেপি কর্মী এসেছেন তৃণমূলে। ভাটিনায় সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে এলাকার শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন। শতাব্দী তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিরোধী শিবিরের এই ভাঙন বুঝিয়ে দিচ্ছে মমতার উন্নয়নের রথ দ্রুতবেগেই ধাবিত হচ্ছে। তাই সবাই মমতার ছত্রছায়াতেই আসছেন। কারণ একমাত্র তৃণমূলেই থেকেই মানুষের জন্যে কাজ করা যায়।
[Total_Soft_Poll id=”3″]